আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদ নাছির উদ্দিন নোবেল এর সহধর্মিনী ফারহানা আফরিন মুন্নার প্রচার, প্রচারণা, গণসংযোগে জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে উঠেছে। এই নারী দুই এতিম শিশু সন্তানকে, বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ ভোটারদের সাথে নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন। সর্বস্তরের মানুষ সাড়া দিয়েছেন, সমর্থন ও দোয়া
করছেন তার জন্য। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার জনগণ মুন্নাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন। আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ইউপি নির্বাচন।
নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্না গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারনার মাঠে হাজার হাজার নারী পুরুষের গণ জোয়ার দেখে এখন অনেকের বেহাল দশা।
একজন অবলা নারী, শহীদ জয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকা সামলাতে পারবে তো? আরও কত কিছু হেয় প্রতিপন্ন করে নানান রকম বুলি উড়িয়ে বর্তমানে নির্বচনী মাঠে নানা অপপ্রচারও চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি, জামাত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
তবে, এমন অপপ্রচারের ফলে মুন্নার জনপ্রিয়তা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের মাঝে তিনি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
সাধারণ ভোটারদের মতে, ফারহানা আফরিন মুন্না একজন অবলার নারী হয়ে তৃণমূল থেকে উপজেলা, জেলা হয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত অনেক রাঘব বোয়ালদের টপকিয়ে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বরাবর পৌঁছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।
সবার একটি কথা, নৌকা প্রতীকে আফরিন মুন্না জয়ী হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে এটার কোন সন্দেহ নেই। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী। আর তিনি নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকারও দিচ্ছেন। সেই সাথে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
প্রতিদিন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারহানা আফরিন মুন্না পূর্ব বড়ভেওলার বিভিন্ন এলাকায় গণ সংযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে নিমিসেই শত শত নারী পুরুষ ভোটাররা তাদের প্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদ জয়া সাহসী নারী আফরিন মুন্নাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। অনেক নারী তাকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের সর্বত্র ভোটারদের মূখে মূখে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারহানা আফরিন মুন্না কথা। তার হাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা, উন্নয়নের প্রতীক নৌকা। বিজয় করবো মোরা নৌকাকে।
এই পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায়, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার স্বামী সাবেক ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন নোবেলকে গত ১৭ আগষ্ট প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেন । তাঁর স্বামী নাছির উদ্দিন নোবেল ইউনিয়নবাসীকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। অতি স্বল্প সময়ে সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন।
কিন্তু খুনিরা তাকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়নি।
তার দেখা পথধরে, ইউনিয়নবাসীর দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত হয়ে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ফারহানা আফরিন মুন্না।
পূর্ব বড় ভেওলা হল আফরিন মু্ন্নার জন্মস্থান। বাপের বাড়ী ও শ্বশুর বাড়ী এখানেই। তার শৈশব কৈশোর কেটেছে এই এলাকায়। আর আশপাশ এলাকায় তাদের অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। ভোটের হিসাব-নিকাশে আত্মীয়তারও একটা প্রভাব পড়েছে।
এলাকাবাসী ও শহীদ স্বামীর স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছে নিয়ে মুন্না জনগণের সেবক হতে রাজনীতিতে মাঠে নামেন।
ভেওলার ইতিহাসে এই প্রথম নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্না। তাও আবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। ফলে ভোটারদের মাঝে আগ্রহ, উৎসাহ ও কৌতুহলেরও কমতি নেই। সবারই একটি কথা এবার ভোট দিবে একজন নারীকে, চারিদিকে এখন মুন্না ও নৌকার জয়ের রব উঠেছে।
এলাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একদল নারী কর্মীর পাশাপাশি পুরুষ কর্মীদের নিয়ে ফারহানা আফরিন মুন্না দিন-রাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নারী ও পুরুষ ভোটারদের সাথে নিয়ে এ-গ্রাম থেকে ও-গ্রামের ভোটারদের কাছে ছুঁটছেন। পাড়ায় পাড়ায় চলছে বয়োজ্যেষ্ঠ আর মুরব্বীদের নিয়ে বৈঠক। হাটবাজারেও চলছে তার গণসংযোগ। নারী হিসেবে পিছিয়ে নেই এই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারহানা আফরিন মুন্না।
ওই ইউনিয়নে মোট ভোটাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভোটার নারী। নারী ভোটারদের পাশাপাশি পুরুষ ভোটাররাও তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন।
অনেকে মনে করছেন, তিনি এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়ে চমক দেখাতে পারেন।
পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়ন সিকদারপাড়া এলাকার নারী ভোটার আয়েশা বেগম বলেন, নারীদের অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো মুখ ফুটে সবার কাছে বলতে পারেন না। অনেক কারণেই নারীরা সমাজে তাঁদের অধিকার আদায় করতে পারেন না। তিনি (মুন্না) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা সহজে বলতে পারবেন। অধিকার আদায় করতে পারবেন।
নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারহানা আফরিন মুন্না বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেই আমাকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। নারী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ (নারী ও পুরুষ ভোটা) আমার উপর আস্থা রেখেই আমাকে দোয়া, সমর্থন, উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।
জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে আমি ভোট চাই। পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের সেবা করতে চাই।
আফরিন মুন্না আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে প্রথমে এলাকায় মাদক, জুয়া ও ইয়াবা দমন করা হবে। সুশাসন প্রতিষ্টা, ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান, মসজিদ মাদ্রাসা ও ধর্মীয় উপাসনালয় সহ গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে নজির বিহীন বিপ্লব ঘটানো হবে। পাশাপাশি সরকারের বরাদ্ধকৃত অর্থ এলাকার উন্নয়নের কাজে সঠিক ভাবে বন্টন করা হবে। তাই তিনি পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের সর্বস্তরের ভোটারদের সমর্থন, দোয়া সহ সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।