চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সদরঘাট থানাধীন আইস ফ্যাক্টরী রোডস্থ কে. এম ড্রিমলেন্ড টাওয়ার থেকে চু‌রি হওয়া ১২ ভরি ৯আনা ১ রতি স্বর্ণ উদ্ধারসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার ভোর সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার ও চোরাই যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালঙ্কারে দাম ১৩ লাখ টাকা প্রায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট থানার ওসি গোলাম রব্বানী।

আসামিরা হলেন- কক্সবাজার মহেশখালী থানার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি এবাদুত বাপের বাড়ীর মো. মোঃ আনোয়ার এর মেয়ে শারমিন আক্তার কলি (২২) ও একই থানার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট সালাউদ্দিনের বাপের বাড়ীর মোক্তার আহম্মদ এর ছেলে মোঃ মনির উদ্দিন(৩২)।

স্থানীয় ও পু‌লিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ আগষ্ট বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় মামলার বাদী ছেলে মেয়েদের নিয়ে তার রুমের দরজায় তালাবদ্ধ করে হাঁটার উদ্দেশ্যে বাসার বাহিরে যান। ঐ সময় কাজের মেয়ে ও বাদীর অসুস্থ শাশুড়ি বাসায় ছিল। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টায় সদরঘাট থানাধীন আইস ফ্যাক্টরী রোডস্থ কে.এম ড্রিমলেন্ড টাওয়ার ৪র্থ তলা ৪/এ ফ্ল্যাটের বাসায় প্রবেশ করেন। তখন দেখেন বাসায় কাজের বুয়া নেই। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাননি।

পরে বাদী তার রুমে প্রবেশ করিয়া দেখেন, তার রুমে থাকা কাঠের আলমারী খোলা এবং আলমারীতে থাকা মালামাল গুলো এলোমেলো অবস্থায় ছড়ানো ছিটানো। এ অবস্থায় দেখে তিনি আলমারীতে থাকা জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজি করে দেখেন। পরে নিশ্চিত হন সাড়ে ২১ ভরি স্বর্ণলংকার নাই। গ্রেপ্তার শারমিন আক্তার কলি বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে কৌশলে আলমারী খুলে চুরি করে নিয়ে যায়।

পরে ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে সদরঘাট থানায় পেনাল কোডের ৩৮১ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১/২০২৩ ইং।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্তী বলেন, ‘চু‌রির ঘটনায় বিশেষ নজরদারি ও অভিযান প‌রিচালনা করে চোর চক্রের সদস্যদের দুজনকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্যমতে বর্ণিত স্থান থেকে চোরাই সোনা উদ্ধার করি। দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আদালতে প্রেরণ করা হয়।’

Spread the love