নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে আহত বৌদ্ধ ভিক্ষু ধর্মজ্যোতি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।
ধর্মজ্যোতি উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন। গেল রবিবার (২ জুলাই) রাতের যেকোনো সময় তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরদিন সকালে বৌদ্ধবিহারের একটি কক্ষ থেকে ধর্মজ্যোতিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।
নিহতের ছেলে সুমন বড়ুয়া জানান, ১৬ থেকে ১৭ বছর আগে ধর্ম পালনের উদ্দেশ্যে সংসার ত্যাগ করেন তার বাবা। গত ৭ বছর ধরে তিনি মরিচ্যার শ্রাবস্তী বিহারের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না।
গেল রবিবার রাতে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলন বড়ুয়া বলেন, ‘টাকার লোভে দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দোলন ধর জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আহত হওয়ার কারণ হিসেবে টাকার লোভে দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।