কক্সবাজার মৌজায় আমার স্বত্ত¡ দখলীয় বসতভিটার জমি আরএস জরিপ মতে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি। আমি আরএস মালিক থেকে খরিদ করে ৩০বছর যাবৎ বসতভিটা উপলক্ষ্যে ভোগদখলে আছি। কিন্তু বিএস জরিপে পাশর্^বর্তী বাঁকখালী নদীর সামিলে সরকারের নামে খাস খতিয়ানভুক্ত হইলে আমি মহামান্য উচ্চ আদালতে রীট মামলা নং ৯৮/২০১০ দায়ের করিলে আমার পক্ষে রায় হয়। তদবিরুদ্ধে সরকার পক্ষ মহামান্য সুপ্রীম কোটে ২১২০/২০১১ মামলা দায়ের করিলে ওহা খারিজ হয়। তৎপরে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আমার নামে খতিয়ান সৃজন করে দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিলে ভূমি মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেন। তৎপরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার কার্যালয় শ্রেণী পরিবর্তন মামলা ০৫/২০১৮ (সদর) মামলামূলে বিএস খতিয়ানের জমির শ্রেণী নদীর শ্রেণী সংশোধন করে বাড়িভিটে রূপান্তর করা হয়।
কিন্তু দুঃখজনক যে, মহামান্য হাইকোর্টে বেলা কর্তৃক দায়েরকৃত রীট মামলা নং ৮৩২৫/২০১৪ মামলায় সিএস জরিপ মতে বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করিয়া উচ্ছেদ করার নির্দেশনা থাকিলেও উক্ত আদেশ অমান্যতা করিয়া জেলা প্রশাসক কর্তৃক বিএস জরিপ অনুসরণে তালিকা প্রস্তুত করিয়া অন্যান্যদের সহিত আমার বসতবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর করিয়া আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। তাই আমি বেলা কর্তৃক দায়েরকৃত উক্ত মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে বিষয়টি মহামান্য হাইকোর্টের গোচরীভূত করিলে উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক বিগত ০২/০৫/২০২৩ ইং তারিখের আদেশমতে আমাকে উচ্ছেদ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করেছেন এবং ভাংচুরকৃত অবকাাঠামোসমূহ মেরামত কাজে বাধা না দিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য যে, আমার উক্ত জমি সংক্রান্তে মহামান্য হাইকোর্ট ও মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে আমার পক্ষে প্রদত্ত¡ রায় বাতিলের জন্য পেশকার পাড়া নিবাসী জনৈক ফরিদুল আলম কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্টে আপীল মামলা নং- ৩৪৪/২০১৯ মামলা হিসেবে উন্নীত হইয়াছেন। উক্ত মামলায় প্রদত্ত বিগত ১২/০৭/২০২৩ ইং তারিখের রায় দ্বারা আমার অর্জিত সকল রায় ডিক্রি বহাল রাখিয়া ফরিদুল আলমের উক্ত মামলা মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং দখল বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, রায়ের কপি প্রকাশ পাওয়ার আগেই কক্সবাজারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিটিএন-এ সকল রায় বাতিল হয়েছে এবং আমাকে উচ্ছেদ করতে আইনগত কোনো বাধা নেই মর্মে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে জনসম্মুখে হেয় করা হয়। প্রকাশিত এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এমন মনগড়া সংবাদ পরিবেশ করা হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

নিবেদক
এড.আবদুল খালেক চৌধুরী
চেয়ারম্যান, শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, মহেশখালী, কক্সবাজার।

Spread the love