Spread the love

ডেস্ক নিউজ:
জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ করে মুজিবি জলবায়ু সমৃদ্ধি পরকিল্পনা বাস্তবায়নে গ্যাস বা হাইড্রোজেন নয়: নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়নের দাবিতে কক্সবাজারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। কক্সবাজারের শহরে নাজিরাটেক সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় উন্নয়ন সংগঠন সংশপ্তক, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও কুহেলিয়া সমিতির যৌথ উদ্যোগে অদ্য শনিবার বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম নিয়ামক হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানীখাত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০৪১ সালের মধ্যে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। যেখানে ২০১৩ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিলো ১৩৯ কোটি ডলার, ২০২২ সালে সেটা ২০২২ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিযয়োগ দাঁরিয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। আমরা সকলেই জানি, আমাদেও দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস,কয়লা ও ডিজেল ভিত্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। এই গ্যাস যাদের কাছ থেকে আমদানী করতে হয় তার অধিকাংশই এই জি-২০ ভুক্ত দেশ সমূহ। তাই তাদের কাছে দাবি তোমরা গ্যাস কয়লা তেল ভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ না-করে, আমাদের জন্য সুবিধাজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নিয়োগ করো ।

বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সরকারের কাছে প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবে। বিপিসি জানিয়েছে, তাদের কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর পাওনা ১০ দশমিক ৬ কোটি ডলার। আজ যেহেতু বাংলাদেশ এক সংকটাপন্ন অবস্থানের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। স্বল্প আয়ের দেশ সমূহের ভাগ্য নির্ধারনে ভারতে বিশ্ব নেতারা একত্রিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও সেখানে আমন্ত্রিত। তাদের কাছে আমাদের দাবি আর নয় জীবাশ্ব জ্বালানিতে বন্ধ হোক বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি হোক সবার জন্য। গ্যাস-কয়লা-তেল ভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ না-করে, বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নিয়োগ করো; দারিদ্রকরণের নীতি বর্জন করো, সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলো। তোমাদের বিনিয়োগ আমাদের জীবনকে ধ্বংস করছে, পরোনির্ভরশীলতা বাড়িয়ে তুলছে। জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে তোমাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করো। কার্বন নিরোসনে অর্থায়র করো।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংশপ্তক এর প্রোগ্রাম ফোকাল মোঃ রফিকুল ইসলাম, হালিমা বেগম, পরিবেশ কর্মী, আনসারুল করিম, মাহবুবুল আলম হান্নান, সহ বিভিন্ন সংগঠনের উন্নয়ন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


Spread the love