বিশেষ প্রতিনিধি:

টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীকেও আসামি করা হয়। যিনি ঐ দিন পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন।

মামলার বাদী মোহাম্মদ জামাল। ১মাস আগে তার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সন্ত্রসী” নবী হোসাইন গ্রুপের সাথে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে এই দ্বন্দের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঐ সাংবাদিক।

গণমাধ্যমকর্মীর নাম সাইদুল ইসলাম ফরহাদ। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট’র কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি। সাইদুল ফরহাদ টেকনাফে জন্মগ্রহণ করলেও ছোটবেলা থেকে কক্সবাজার শহরে থাকেন।

আসামি হওয়া গণমাধ্যমকর্মী সাইদুল ফরহাদ বলেন, ‘গেল ১০ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটিতে টেকনাফ গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। ঈদের দুইদিন পর ছুটি শেষ করে কক্সবাজার ফিরে আর গ্রামে যাওয়া হয়নি। মামলার বাদীর বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে তিনি সংবাদ প্রকাশ করে।বিজিবি এই সাংবাদের সত্যতা পেলে ইয়াবা কারবারি জামালকে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। এই ক্ষোভে সে গণমাধ্যমকর্মী ফরহাদকে আসামি করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ ১১ সেপ্টেম্বর যেদিন টেকনাফ উনছিপ্রাং চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে ঘটনা হয় সেদিন কক্সবাজার শহরে টুরিস্ট পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিকী।
যা সিসিটিভি ও মোবাইল নম্বরের লোকেশন (সিডিআর) থেকে জানা যাবে। ঘটনার সময় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রোকনুজ্জামান নিজেই উপস্থিত ছিলেন। তার কাছ থেকে জানা যাবে আমি উপস্থিত ছিলাম কিনা। মূলত এই বাদীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভে আমাকে আসামি করা হয়েছে। এসব ঘটনার সাথে আমি জড়িত আছি সেটা প্রমাণ করতে পারলে প্রশাসন যে শাস্তি দিবে তা আমি মেনে নিব। আমি সবসময়ই আইনকে সম্মান করি।’

কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক দীপক শার্মা দীপু বলেন, আমার সহকর্মী সাইদুল ফরহাদ কে যে মামলায় আসামি করা হয়েছে। সে মামলায় যে তারিখটি উল্লেখ করা হয়েছে সেই তারিখে তিনি আমার সাথে সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছিলেন। সাইদুল ফরহাদ আমার একটি মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টালে কাজ করে।এই সুবাদে তার সাথে দিনের অধিকাংশ সময় দেখা হয়। যেটির প্রমান হিসেবে আমার অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারেন বলে চ্যালেঞ্জ করেন। এটি সম্পর্ণ মিথ্যা মামলা। এই মামলায় থেকে ফরহাদের নাম প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এই ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বাদীর নাম দিয়েছে সেটি হয়তো বা ওসি সাহেব খেয়াল করেননি। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

Spread the love