নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাগরে মাছ ধরা অবস্থায় মাঝি আকতার প্রকাশ লেডা আকাতারের নিষ্ঠুর মারধরে গুরুতর আহত হয়ে ছয়মাছ ধরে বিছানায় কাতরাতে জেলে নূরুল আলম। এর ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন এই জেলে পরিবার।

হামলার শিকার জেলে নূরুল আলম মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম খোন্দকার পাড়ার মোঃ রিদুয়ানের পুত্র এবং হামলাকারী মাঝি আকতার প্রকাশ লেডা আকতার কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত সোলতান আহমদের পুত্র।

হামলার শিকার জেলে নূরুল আলম জানিয়েছেন, প্রায় ছয় মাস আগে মাঝি আকতারের পরিচালনাধীন বোটে সাগরে মাছ ধরতে যান নূরুল আলম। এসময় সামান্য বিষয় নিয়ে তাকে বেলচা দিয়ে পায়ে বর্বরভাবে আঘাত করেন মাঝি আকতার। এতে গুরুতর আহত হন নূরুল আলম। কিন্তু কোনো চিকিৎসা বা সহায়তা না দিয়ে বোট থেকে নামিয়ে দেয়া হয় তাকে। এরপর থেকে চিকিৎসা অভাবে পঙ্গু অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন জেলে নুরুল আলম।

তিনি জানান, চিকিৎসা সহায়তার জন্য বহুবার মাঝি আকতারের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু সহায়তা তো দূরের কথা উল্টো গালি-গালাজ করে তাড়িয়ে দেন। এতে চিকিৎসার অভাবে পঙ্গু অবস্থায় বিছানায় কাতরাচ্ছেন নূরুল আলম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিগত হওয়ায় আয় না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তিনি। তিনি মাঝি আকতারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, মাঝি আকতার তার বোটের জেলেদের সামান্য বিষয় নিয়ে কথায় কথায় মারধর করেন। এমনকি বেলচা, দা, লোহার রডসহ হাতে কাছে যা পান তা নিয়ে বর্বরভাবে আঘাত করেন। চকরিয়ার আলগমীর ও মহেশখালীর হানিফ আরো দুজন জেলে মাঝি আকতারের হামলার শিকার হয়েছেন।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাঝি আকতারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ওই বোটের মালিক মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার আছহাব উদ্দীন বলেন, নূরুল আলমকে আঘাতের ঘটনা সত্য। এছাড়াও আরো কয়েকজন শ্রমিককেও মারাত্মকভাবে মারধরে করেছে আকতার। তাই তাকে বোট থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।