সিবিএন ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন দুই ট্যাংকার জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের ৪২ দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে এই অনুমতি দিল নেতানিয়াহু সরকার। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ২৩ লাখের বেশি মানুষের এই অঞ্চলে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েলি সেনারা। এর আওতায় সেখানে খাবার, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি তারা। ফলে গাজায় চরম মানবিক সংকট দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কয়েক দিন আগে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অল্প পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয় তেল আবিব। তবে এসব ত্রাণ সহায়তায় এতদিন কোনো জ্বালানি ছিল না।

ইসরায়েলি টিভি সেভেনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় মহামারি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচলে কিছুটা সহায়তা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেননা গাজায় মহামারি দেখা দিলে তা এর বাসিন্দা, ইসরায়েলি বাহিনীর ক্ষতি করতে পারে। এমনকি তা ইসরায়েলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

জ্বালানিবাহী এসব ট্যাংকার মিসর নিয়ন্ত্রিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে গাজায় প্রবেশ করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এসব জ্বালানি যেন হামাসের হাতে না পড়ে তার দেখভাল করবে ইসরায়েল।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলি নাগরিক হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরারেয়লি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে নিয়ে আসে হামাস। এই দিন থেকেই হামাসকে নিশ্চিহ্নের নামে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে সাত হাজারের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে।

গাজায় হাজার হাজার মানুষ হত্যার প্রতিবাদ এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ-সমাবেশ করলেও তা আমলে নিচ্ছে ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এখন আবার ইসরায়েলি সেনারা গাজার হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে। এসব হাসপাতালে ঘরছাড়া লাখো ফিলিস্তিনি নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন।