মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক,রামু:

রামু উপজেলার ১১টি ইউপিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপার যাবে ভোরে। নির্বাচনে ১১ ইউপি থাকছে ৩৩জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট। ভোট কেন্দ্রে থাকছে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্য। রামু উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে মোট ভোট কেন্দ্র থাকছে ১০০টি।
১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক কেন্দ্রে ভোট দিবেন ভোটাররা। দিনের শেষে কে হাসবেন বিজয়ের হাসি, সে দিকেই চেয়ে আছেন সাধারণ জনগণ।
এবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা বেশ উৎফুল্ল রয়েছে।
অন্য দিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামীলীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন।

রামুর একাধিক ভোটাররা জানান, রামুতে সংহিসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে চায়। এই নির্বাচনে মর্যাদার লড়াইয়ের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় নেতা কর্মিরা বিপাকে রয়েছেন।

রামুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সমন্বয়ক ও রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনয় চাকমা বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে,নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ম্যাজিট্রেট, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার-ভিডিপি সদস্য সমন্বয়ে নির্বাচনে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সজাগ রাখা হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা কঠোর ভাবে মোকাবেলা করা হবে। প্রার্থীরা প্রতিপক্ষের বাড়ির কাছের কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ বলে অভিযোগ করলেও আমরা মনে করি, কোন কেন্দ্রই ঝুকিপূর্ণ নয়।
তবুও আইন প্রয়োগকারী বাহিনী প্রতিটি কেন্দ্রের উপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। তিনি আরও জানান রামুর ১১ ইউনিয়নে সুষ্ট, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করা হচ্ছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রকে চিহ্নত করা হয়েছে। এসব ভোট কেন্দ্রে আইপি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
ভোট কেন্দ্রে কোন ধরণের মারামারি ও সহিংসতার চেষ্টা করতে চাইলে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না,সবাইকে উৎসব মুখর পরিবেশে নিজ নিজ কেন্দ্রে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহবান জানান।

রামু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম জানান, রামু উপজেলা ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৬ জন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১১০ জন ও সাধারণ সদস্য ৩৯১ জন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রামু উপজেলার ১০০টি ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার থাকবেন ১১১জন,সহকারী প্রিজাইডিং ৪৬২ জন ও পোলিং ৯৩৯ জনের সমন্বয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর রামুর ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় সে লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।