নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদ বদরখালী ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ আকস্মিক ভাবে মাদক বিরোধী অভিযানে নেমে আব্বাছ উদ্দিন (৪৮) নামে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আটককৃত মাদক বিক্রেতা ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পুকুরিয়া পাড়ার মৃত বদিউল আলমের পুত্র।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে বদরখালী বাজারস্থ দানু মিয়া হোটেল থেকে মাদক বিক্রেতাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
জানাগেছে, ইউনিয়নের সাবেক গ্রাম পুলিশ আব্বাছ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও মদ বিক্রি করে আসছিল। বিষয়টি বদরখালী ইউনিয়ন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরে হোছাইন আরিফের নজরে আসলে সোমবার রাত ১১টার দিকে আকস্মিক ভাবে বদরখালী বাজার পাহাদারদের সাথে নিয়ে পুরাতন জেটিতে তার দোকানে অভিযান চালান। অভিযান টের পেয়ে তার স্ত্রী ও আব্বাছ সুকৌশলে পালিয়ে যান। পরদিন (মঙ্গলবার) বেলা ১২ টার দিকে আব্বাছ বদরখালী বাজারস্থ দানু মিয়া হোটেল অবস্থান করার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান আরিফ গ্রাম পুলিশদের সাথে অভিযানে নেমে তাকে আটক করেতে সক্ষম হয়।
মাদক বিক্রেতা আব্বাছকে আটক করার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভিড় জমান।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আব্বাছ বদরখালী বাজারস্থ পুরাতন বরফ মিল রোডে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক বিক্রিসহ নানা ধরণের অপকর্ম চালিয়ে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, বদরখালীর জনগণ দল, মত, নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি নির্বাচনী বক্তব্যে বলেছিলাম আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে জনগণকে সাথে নিয়ে হযরত ওমর (র:) মত দেশ পরিচালিত করব। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র ১২ দিন। দায়িত্ব নেয়ার পরে প্রথম দিন বদরখালীর চিহ্নিত চোর মিজানুর রহমানকে চকরিয়া থানায় প্রেরণ করেছি। বিভিন্ন ইয়াবা, মদ ব্যবসায়ীদেরকে ডেকে ভাল হয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। আমার নির্দেশ অমান্য করে আব্বাছ পুরাতন জেটি ঘাটে ভাতের হোটেলের নাম দিয়ে ইয়াবা ও মদ বিক্রি করে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক ভাবে আমি মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হই। বিষয়ে আমি চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবিহিত করেছি। বদরখালী জনপদে যেসব পয়েন্টে মাদক ও জুয়ার স্পটগুলোর কথা শুনা যাচ্ছে ওইসব জায়গায় পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে। আটক আব্বাছকে তার দুই ভাইয়ের জিম্মায় মুছলেখায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।