মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
শনিবার ২৯ জানুয়ারি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে এবং কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট (RAT) পদ্ধতিতে নমুনা টেস্ট করে মোট ৩৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।
তারমধ্যে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৯৮৩ জনের নমুনা টেস্ট করে ৩২১ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। অবশিষ্ট ৬৬২ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, শনিবার ২৯ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট (RAT) পদ্ধতিতে ২৩০ জনের নমুনা টেস্ট করে ৭৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে করা অবশিষ্ট ১৫৪ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে। জেলা সদর হাসপাতালে ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট আসা সংগৃহীত নমুনা পূণ: টেস্টের জন্য নিয়মানুযায়ী কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির এ তথ্য জানিয়েছেন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে বুধবার ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট আসা ৩২১ জনের মধ্যে ৫ জন আগে আক্রান্ত হওয়া পুরাতন রোগীর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট। অবশিষ্ট ৩১৬ জনের মধ্যে ৩ জন বান্দরবান জেলার রোগী। বাকী ৩১৩ জন সকলেই কক্সবাজারের নতুন রোগী।
এরমধ্যে, কক্সবাজার সদর উপজেলার রোগী ৭৪ জন, রামু উপজেলার রোগী ৫ জন, উখিয়া উপজেলার রোগী ৪০ জন, টেকনাফ উপজেলার ৩১ জন, চকরিয়া উপজেলার ৩১ জন, পেকুয়া উপজেলার ১ জন, মহেশখালী উপজেলার রোগী ৫৯ জন এবং ৭২ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন)
অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত দেওয়া তথ্য মতে, শুরু থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ৩১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছন। তারমধ্যে, ৩৪ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে।
আবার, সারাদেশে শনিবার ২৯ জানুয়ারি সারাদেশে করোনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সারাদেশে একইদিন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮ জন। একইদিন শনাক্তের হার ৩১’১০% ভাগ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।