শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে (১৩) কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের আবদুল হাদী সিকদার পাড়ার হেফাজ উদ্দীন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে । সে ৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান বলে জানা যায়।
গত ৩০ জানুয়ারী মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে ভিকটিমকে টেস্ট করতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে পুলিশের কাছ থেকে ভিকটিম লাপাত্তা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর পূর্বে মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে হেফাজ উদ্দীন তার ধারাবাহিকতায় ২৬ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন ধরে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে পাশে মান্নানের বাড়িতে নিয়ে এগিয়ে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। হেফাজের বন্ধু মাধ্যমে জানতে পারলে মেয়েটিকে মান্নানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মেয়েটি বড়ভাই মোঃ রাকিব জানান, মা ও এসআই কামাল উদ্দীন এবং এক মহিলা কনস্টেবল সাথে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে টেস্ট করতে পাঠালে যেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ফোনে কল দিলে হেফাজ উদ্দীন ফোন রিসিভ করেন এবং কোথায় জিজ্ঞাসা করলে আলী আকবর ডেইল শান্তি বাজার বলে জানান।
এবিষয়ে এসআই (নিঃ) কামাল উদ্দীন সাথে কথা হলে তিনি জানান, ও সি সি থেকে পালিয়ে গেছে ওখানে পুরুষ ডুকতে দেওয়া হয় না। সাথে থাকা মহিলা কনস্টেবলের কথা জিজ্ঞেসা করলে এত প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো না বলে ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হেফাজ উদ্দীনের বড়ভাই মোঃ সোহেল সাথে কথা হলে তিনি জানান, হেফাজ উদ্দীন ধর্ষণ করা নাই। আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন করেছে।
আরেক অভিযুক্ত আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন।
এই বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কিশোরীকে ধর্ষণ করা এবং পুলিশের কাছ থেকে ভিকটিম কীভাবে লাপাত্তা হল জিজ্ঞেসা করলে তিনি ফোন কাটে দেন।