আবু সায়েম:
কক্সবাজার জেলা ট্রাফিক পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণে ' বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার শুরু হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ট্রাফিক বিভাগের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের দেওয়া হয়েছে এই ক্যামেরা। পর্যায়ক্রমে জেলার ২০ টি ট্রাফিক পয়েন্টে বডি ওর্ন’ ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে।
এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজার শহর প্রযুক্তিগত কার্যক্রমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টায় প্রথম পর্যায়ে পর্যটন শহরের কলাতলি ডলফিন মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের টিআই নির্মল দেবনাথসহ পুলিশ সদস্যদের
শরীরে 'বডি ওর্ন’ ক্যামেরার লাগানোর মাধ্যমে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিজানুর রহমান,
ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব উর রাজ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর
(টিআই প্রশাসন) আমজাদ হোসেন, টিআই শওকত হোসেন, টিআই নির্মল দেব নাথ, টিআই তুহিন আহমেদ, টিআই মোশারফ হোসেন খান, সার্জেন্ট ফেরদৌসসহ ট্রাফিক বিভাগের অন্যান্য সদস্যরা।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, এই ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারী কার্যক্রম নজরদারি করা হবে। শুধুমাত্র পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশ ও মানুষের কথোপকথন সহ গতিবিধি নজরদারি করা হবে। এতে উভয় পক্ষ উপকৃত হবে।
এর আগে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে এই ক্যামেরা দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যটন শহরে ট্রাফিকের পাশাপাশি অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বরতদের ‘বডি ওর্ন’ ক্যামের দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি মো. হাসানুজ্জামান।
এসপি বলেন,'একজন পুলিশ অফিসার এই মুহূর্তে কোথায় আছেন, কী দায়িত্ব পালন করছেন- সেটা আমরা বডি ওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি করব। শুধু নজরদারি নয়, পুলিশের কার্যক্রম রেকর্ডেও থাকবে। ফলে তাদের কাজের স্বচ্ছতার পাশাপাশি জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হবে।’
বডি ওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে নাগরিকদের গতিবিধি নজরদারি করা হবে কি না? জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘এটা একেবারেই পুলিশের নিজস্ব কাজের জন্য। এর মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহণকারীদের নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত । একজন পুলিশ রাস্তায় কিংবা কোনো বাসায় অথবা কোনো এলাকায়, প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কার সঙ্গে কথা বলছেন, কি কি কথা হচ্ছে সেগুলো ১২ ঘন্টা রেকর্ডে থাকবে ক্যামেরায়। পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। বিশ্বের অনেক উন্নত, সভ্য দেশে বডি ওর্ন ক্যামেরার কার্যক্রম চালু আছে বলেও জানান তিনি।বডি ওর্ন ক্যামেরা জিপিএসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।