প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে টেকনাফে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর চত্ত্বরে উক্ত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। “পুষ্টি মেধা দারিদ্র বিমোচন, প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প’ এর সহযোগীতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর উক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম। উপজেলা কৃষি অফিসার ড. ভবসিন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমন্ত রুদ্র পাল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিফাত বিন রহমান, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শওকত হোসেন, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনজুর আলম, টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল এবং মেরিন ফিসারিজ অফিসার শাওলিন ফেরদৌস প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। প্রদর্শনীতে টেকনাফ উপজেলার খামারীরা উন্নত জাতের গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি, টার্কি, তিতির, কোয়েল, শৌখিন পাখি (কবুতর, ময়না, টিয়া, ঘুঘু প্রভৃতি), বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য (মিষ্টি, দই, ঘি, মাখন, ছানা প্রভৃতি) এবং প্রাণি প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বলেন,‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দেশে বিভিন্ন জাতের পশু পালনে আমরা ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছি। মাংস ও ডিম উৎপাদনে আমার এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনেও প্রায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে। তাই প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ যাতে উন্নত জাতের পশু ও পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ হয় এবং এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ায় আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ‘ এই এলাকার মানুষ যাতে উন্নত জাতের গরু ছাগল, হাঁস-মুরগী লালন পালন করতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রাণিসম্পদের এই প্রদর্শনী পশুপালনে জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছি।’
প্রদর্শনীতে তিনটি ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী নয়জনসহ মোট বারজনকে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।