আব্দুস সালাম,টেকনাফ(কক্সবাজার):
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলো থেকে স্বেচ্ছায় ১১ তম দফায় ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে উদ্দেশ্যে রওযানা দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ও বিকালে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে পৃথকভাবে ৩০টি বাসে তারা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এর আগে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। পরে ৩০টি বাস তাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানান, এবার ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের ভাসানচরে পৌঁছার কথা রয়েছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে যাত্রা করেছেন। উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে পৌঁছানোর পর তাদেরকে নিজ নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
এর আগে গত ৩০ জানিয়ারি ১০তম দফায় ৭১৮ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে যান। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছেন। এছাড়াও গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।