সিবিএন ডেস্ক:
রাশিয়ার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপরই ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রস্তুত থাকা রুশ সেনারা। এরপর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষ শুরু করেছে। এদিকে ইউক্রেনে হামলায় রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
বৃহস্পতিবার বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেল্টার বরাতে বিবিসি এই খবর প্রকাশ করেছে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনে হামলায় তার দেশের সেনারাও অংশ নেবেন। তবে এখন পর্যন্ত দেশটির সেনারা ইউক্রেন অভিযানে নামেননি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলা শুরুর পরপরই ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু হয়। বিস্ফোরণের শব্দ রাজধানী কিয়েভেও শোনা গেছে। প্রাণভয়ে শহরটির বাসিন্দারা হন্যে হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৪০ সেনাসদস্য ও ১০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
রুশ সেনারা প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চলে সেনা অভিযান শুরু করেছেন। প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকেও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রবেশ করেছে ইউক্রেনে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেলারুশে সেনাসজ্জা বাড়িয়েছে মস্কো। এ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো আপত্তি তুললেও ক্রেমলিন জানিয়েছিল, সামরিক মহড়ায় অংশ নিতেই সেখানে অবস্থান করছেন সেনারা।
আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, আমি আবার বলছি, আমাদের সেনারা সেখানে (ইউক্রেন) নেই। তবে যদি প্রয়োজন পড়ে, যদি বেলারুশ ও রাশিয়ার দরকার হয়, তাহলে তারাও অংশ নেবেন।
এদিকে হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার দাবি করেছে কিয়েভও। রাশিয়ার ছয়টি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি শহরে হামলা করার পর তা প্রতিহত করার সময় প্রায় ৫০ জন ‘দখলদার রুশ’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।