এম.এ আজিজ রাসেল :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেছেন, ‘মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন, তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে অত্যন্ত সুকৌশলে আড়াল করে রাখা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে বাংলার আকাশ—বাতাস মুখরিত ছিল, অত্যন্ত সুকৌশলে সেই স্লোগানকে আড়াল করে রাখা হয়েছে। যে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, সেই নেতাকে একটি প্রজন্মের কাছে একেবারে আড়াল করে রাখে একটি গোষ্ঠী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনও নির্দিষ্ট দল, গোষ্ঠী বা দেশের নন, তিনি বিশ্বের একজন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। উন্নয়নে বিশে^র কাছে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।’
সোমবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, ইউনুস বাঙালি, পৌর আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি যথাক্রমে আসিফ উল মওলা, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, আতিক উল্লাহ কোং, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর সালাহ উদ্দিন সেতু, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, মিজানুর রহমান সম্পাদক ও
শাহনেওয়াজ চৌধুরী।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে শুধু চলার পথের দিশাই দেননি, পাশাপাশি তাঁর সারাজীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের দুঃখ, বঞ্চনা ও ভবিষ্যতের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন। এ ভাষণেই তাঁর সুগভীর দার্শনিক চিন্তা ও গণমুখী নেতৃত্বের সর্বোচ্চ নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছিল। তাঁর এই সুকৌশল বার্তা বাংলার জনগণ যথার্থই অনুধাবন করেছিল, তাই তখন থেকেই তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে তিনি যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। বৈশ্বিক স্বীকৃতি এবং সহানুভূতি তৈরির ক্ষেত্রেও এই ভাষণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডল, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব মোঃ তৈয়ব, পৌর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মেহেদী রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা শুভ দত্ত বড়ুয়া, গিয়াস উদ্দিন, জিয়া উল্লাহ চৌধুরী, আবু তাহের, পৌর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া খান, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল মুরাদ সুমন, ৪নং ওয়ার্ডের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি জাফর আলম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম ওয়াজেদ, ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক খোরশোদ আলম রুবেল, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি জহিরুল কাদের ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, ১০নং ওয়ার্ড সভাপতি নুর মোহাম্মদ সাধারণ সম্পাদক দীপক দাশ, ১১নং ওয়ার্ড সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সুমন, ১১নং আবদুল মজিদ সুমন, ১২নং ওয়ার্ড সভাপতি সাহেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ চৌধুরী, ১৩নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা, ফয়সাল হুদা, আমির উদ্দিন, সাগর পাল, আজিজ উদ্দিন, মীর কাসেম, জাবেদ জাফরী, আবদুল মোতালেব লালু, আবদুল মালেক, রাজেনুল ইসলাম (শিপু) সৈয়দ নুর, আনোয়ার হোসাইন, জামাল হোসেন, মোঃ ফারুক, মোঃ তাজ, মনছুর প্রমূখ।