মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:
জৈব চাষাবাদ, আপগ্রেড জুম চাষ ও ভ্যালু চেইন উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষণ পেল বান্দরবানের লামা উপজেলার ২৮০ জন কৃষাণ-কৃষানী। এর মধ্যে জৈব চাষাবাদের উপর প্রশিক্ষণ পায় উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের গাজি পাড়া, নয়াপাড়া, হাম্মুক পাড়া, উথোয়াই পাড়া, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বড়পাড়া, বাঁশখাইল্যা পাড়া, হিমছড়ি পাড়ার ১০০ জন কৃষাণ-কৃষাণী। আপগ্রেড জুম চাষের উপর লামা সদর ইউনিয়নের ঘিলাপাড়া,তাউপাড়া, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ত্রিশডেবা ও রাজাপাড়ার ৩০ জন কৃষাণ কৃষাণী প্রশিক্ষণ পান। জনু চেইন উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষণ পান রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী নয়াপাড়া, দেহ্লাঅং পাড়া, রাজবাড়ী, বৈক্ষ্যং, দরদরী মার্মা পাড়া, তৈল্যাভিটা, বৈদ্য ভিটা, হরিণঝিরি, শিলেরতুয়া ও লতিফ মেম্বার পাড়ার ১৫০ কৃষাণ-কৃষানী। বেসরকারী সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশের এগ্রো ইকোলজি প্রকল্প ও হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের সিপিপি-পিএইপি-২ প্রকল্পের আওতায় গত ৯ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত পাড়া পর্যায়ে উপকারভোগী কৃষকদের মাঝে পৃথক এসব প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুকুমার দেওয়ানজী, সুরেশ চন্দ্র বসাক, ্এগ্রো ইকোলজি প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মো. মামুন সিকদার, মাঠ সহায়ক রিন্টু চাকমা, নিরতা তংচংগ্যা, প্রিয়াংকা ত্রিপুরা ও হিউম্যানটেরিয়াল ফাউন্ডেশনের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর বীর সিংহ চাকমা হাতে কলমে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এ বিষয়ে এগ্রো ইকোলজি প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মো. মামুন সিকদার বলেন, এ প্রশিক্ষণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষন, চাষাবাদে রাসায়নিক সার ও বালাই নাশক ব্যবহার কমাতে, আতœসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি আদিবাসীদের প্রথা সংস্কৃতি রক্ষা এবং আয় বাড়াতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।