মোস্তফা কামালঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে একটি বন্য হাতির পাল ধান ক্ষেতে হানা দিয়ে এক কৃষকের বিপুল পরিমাণ ফসল খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে ব্যাপক বিনষ্ট করেছে। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষক এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ ) দিবাগত গভীর রাতে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড দোছড়ি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক একই এলাকার গয়ালমারা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ এর পুত্র মোহাম্মদ হানিফ (৪০) জানান, সে মৌসুমের শুরুতে ভালো ফসলের আশায় একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ির অদূরে দোছড়ি নামক এলাকায় এক একর ২০ শতক নিজ জমিতে ধান চাষ করে পাহারা দিয়ে আসছিলেন। নানা প্রতিকুলতায় পরিচর্চার ফলে ক্ষেতও সবুজের সমাহার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিধিবাম! মঙ্গলবার রাতে ৪-৫ টির বুনো হাতির একটি পাল তার ধান ক্ষেতে হানা দিয়ে দফায় দফায় তান্ডব চালায়। এসময় ক্ষেত রক্ষায় তার শো-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়েগিয়ে এসে হাতি তাড়ালেও ততক্ষণে হাতির পালটি পুরো ধান ক্ষেত খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে ফেলে। এতে তার প্রায় লক্ষ্য টাকার বেশি ক্ষতিসাধন হয় বলে দাবী করা হচ্ছে। এর সাথে ফসল নিয়ে তার দেখা স্বপ্নও ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোহাম্মদ হানিফ জানান, গত তিনমাস আগেই ক্ষেতের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আর ধান রোপণ করার সময় নেই। আমি অনেক কষ্ট করে এই ক্ষেত করেছি।
এদিকে একজন অতি গরীব কৃষকের ধান ক্ষেতে বন্য হাতির তান্ডবের খবর পেয়ে পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোছাইন মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে তাঁর কাছে ফোনে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ইউনিয়নের দোছড়ি গ্রামে এক গরীব কৃষকের ধান ক্ষেতে বন্য হাতির পাল তান্ডব চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। গরীব কৃষক লোকটি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সে চাইলে তাকে সরকারি ভাবে আর্থিক সহায়তা পায়মতো সহযোগিতা করা হবে।
লামায় বন্য হাতির তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
