হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
একসাথে ৭ জন ক্ষুদে ‘হাফেজ’ এর ‘খতমে সবিনা’ পুরো এলাকায় আলোড়ন সৃস্টি করেছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে ব্যতিক্রমধর্মী মহতী অনুষ্টানের আয়োজন করেছে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ফকিরাবাদ কা’ব বিন মালেক (রা.) আল—ইসলামিয়া মাদ্রাসা কতৃপক্ষ।
সকাল ৭টায় একযোগে ৭ জন ক্ষুদে ‘হাফেজ’ এর ‘খতমে সবিনা’ উদ্বোধন করেন টেকনাফের প্রাচীণতম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান হ্নীলা জামিয়া দারুসসুন্নাহর প্রবীণ শিক্ষক ও মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতী আবদুস শুকুর। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে দেশ, জাতি, সরকার, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টান, পরিচালক (মুহতমিম) এর জন্য দুয়া করেন।
খতমে সবিনা চলাকালে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী পরিদর্শন করে এই মহতী উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেন। একসাথে ৩০ পারা পুরো কুরআন শরীফ মুখস্থ শোনানোর নাম ‘খতমে সবিনা’। একটি মাদ্রাসায় একসাথে ৭ জন ক্ষুদে ‘হাফেজ’ এর ‘খতমে সবিনা’ বিরল ঘটনা এবং টেকনাফ উপজেলায় সর্বপ্রথম। এই মহতী অনুষ্টানে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হাফেজগণের গর্বিত অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৭টায় শুরু হয়ে রাত ১১টায় সম্পন্ন হয়।
গর্বিত ৭ জন ক্ষুদে ‘হাফেজ’ হলেন সাবরাং নয়াপাড়া গ্রামের শফিউল আলম ও আমিনা বেগমের পুত্র হাফেজ রিয়াজ উদ্দিন (১৪), হ্নীলা আলীখালী গ্রামের আবদুর রহিম ও আকলিমা আক্তারের পুত্র হাফেজ ফখরুল ইসলাম (১২), হ্নীলা নাটমুরাপাড়া গ্রামের মাও. তারেক বিন ফকির ও খালেদা ইয়াসমিনের পুত্র হাফেজ মো. রাকিব (১২), হ্নীলা ফুলেরডেইল গ্রামের আবদুল হামিদ ও রহিমা আক্তারের পুত্র হাফেজ সাইমুন বশর (১৪), হ্নীলা নাটমুরাপাড়া গ্রামের নুরুল আলম ও মিনারা আক্তারের পুত্র হাফেজ মো. সাকিব (১৩), হ্নীলা লেদা গ্রামের মৃত শাহ আলম ও রেহেনা আক্তারের পুত্র হাফেজ মো. সুফাইদ (১৫), হ্নীলা ফুলেরডেইল গ্রামের মৃত আবদুর রহিম ও নাসিমা খাতুনের পুত্র হাফেজ রেজাউল ইসলাম (১৪)।
নায়েবে মুহতমিম (সহকারী পরিচালক) আলহাজ¦ মাও. হাবিবুল্লাহর তত্বাবধানে পরিচালিত খতমে সবিনার পরিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন হ্নীলা জামিয়া দারুসসুন্নাহর প্রবীণ শিক্ষক হাফেজ মাও. মো. শরীফ, হাফেজ মো. আরিফ, হাফেজ আবদুর রহিম, হ্নীলা স্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মো. জামাল, হোয়াইক্যং জামিয়া করিমিয়ার সিনিয়র শিক্ষক হাফেজ মো. ইসমাইল, উখিয়া জামতলী তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক হাফেজ আবদুল খালেক, টেকনাফ দারুততক্বওয়া আল—ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক হাফেজ মো. রেজাউল
করিম। মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক মাও. তারেক বিন ফকির অসুস্থতা সত্বেও মাদ্রাসার কাজে বাইরে রয়েছেন।
নায়েবে মুহতমিম (সহকারী পরিচালক) আলহাজ¦ মাও. হাবিবুল্লাহ জানান, মাদ্রাসার হেফজ বিভাগ থেকে প্রতি বছরই পবিত্র কুরআন শরীফ হেফজ সমাপ্ত করে বের হন। এ বছরও হেফজ বিভাগের শিক্ষক হোয়াইক্যং তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ শিহাব উদ্দিনের তত্বাবধানে ১০ জন ছাত্র হেফজ সমাপ্ত করেছে। তাদেরকে বার্ষিক সভায় দস্তারবন্দী করা হয়েছে। তম্মধ্যে উপরোক্ত ৭ জন হাফেজ খতমে সবিনায় অংশ নেন।