প্রেস রিলিজ:

বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বক্ষেত্রে মেয়েদের ছবির পরিবর্ততে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নারীদের হিজাব খুলে কান বের করে ছবি দিতে হয়। এই নিয়ম বাতিল করে পর্দা মেনে চলা মেয়েদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করার দাবি জানায়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরাবি আখি বলেন, যেসব মেয়েরা পর্দা করেন তাদের সনাক্তকরণে মুখ খোলা ছবি ব্যবহার এবং মুখ দেখাতে বাধ্য করাটা উচিত নয়। বরং ছবির বদলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করাই আধুনিক এবং নিরাপদ পদ্ধতি । পর্দা করা মুসলিম নারীদের ধর্মীয় অধিকার।”

আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম তাহেরা বলেন, পর্দাশীল ছাত্রীদের ছবি তোলার সময় চেহারা, কান, গলা প্রদর্শন করতে হয়। এটা আমার ধর্ম পালনের স্বাধীনতার সাথে সাংঘর্ষিক। উন্নত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি থাকার পরও ছবির মত ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে, এমন পদ্ধতি বাতিল করা উচিত।

দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সায়্যিদা হুমায়রা বলেন, “কানওয়ালা,মুখখোলা ছবি নয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতেই সব হয় ” আমরা প্রিয় জন্মভূমি স্বাধীন বাংলাদেশে পর্দার স্বাধীনতা চাই। আমাদের দেশে অনেক মা বোন আছেন যারা কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক শরয়ী পর্দা করেন। পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলার কারনে মুখ খুলে ছবি তুলতে না চাওয়ায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও নাগরিক অধিকার পেতে বাধাগ্রস্ত ও বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমনঃ জাতীয় পরিচয় পত্র, বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পরিক্ষা, চাকরির পরিক্ষা, ভাইভা, এটিএম বুথ ব্যাবহার, ওএমএস কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট, পাসপোর্ট, অনলাইন টিকিট, স্বামীর পেনশনের টাকা উত্তোলন মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে পর্দানশীন মহিলারা বিপাকে পড়েন । সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১ এর ১ নং অনুচ্ছেদের ক অংশে বলা হয়েছে – “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, প্রচার বা পালনের অধিকার রয়েছে” সেই হিসাবে মুসলিম মেয়েদের পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রয়েছে।

মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা সনাক্তকরণে ছবির বদলে বায়োমেট্রিক ফিচার যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হ্যান্ডজিওমেট্রি, আইরিশ রিকগনিশন ব্যবহার করার দাবী তুলেন।