আবুল কালাম, চট্টগ্রাম :
ওমরাহ যাত্রীদের সুবিধার্থে বিমানের সীট সংকট নিরসন এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম-জেদ্দা ও চট্টগ্রাম-মদিনা বিশেষ ফ্লাইট চালুর দাবী জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
সোমবার (২৮ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চসিকের সবেক প্রশাসক এ দাবী জানান।
এসময় তিনি বলেন করোনা মহামারীর কারণে সৌদিআরবে প্রায় দুই বছর ওমরাহ হজ্ব পালন বন্ধ ছিলো। করোনার সংক্রমণ কমতে থাকায় সৌদি সরকার এখন ওমরাহ হজ্ব পালনের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু বিমানের সীট সংকটের কারণে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওমরাহ হজ¦ আদায় করতে পারছেন না। সাধারণত শবে বরাতের পর থেকে রমজান মাস পর্যন্ত সময়টাকে ওমরাহ হজ¦ আদায়ের সময় হিসেবে বেছে নেয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ। প্রতি বছর এ সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওমরাহ আদায় করতে সৌদিআরব গমন করে থাকে। বর্তমানে তাদের সৌদিআরব গমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিমানের টিকেটের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি এবং ফ্লাইটের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে। তাছাড়া আগে চট্টগ্রামের যে সকল যাত্রীরা ঢাকা হয়ে জেদ্দা কিংবা মদিনা যেতো তারা চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে চেকিং করে ইমিগ্রেশন করতো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিমান বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন ভোজের সামান্য টাকা সাশ্রয় করতে গিয়ে যাত্রীদের ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে চেকিং করতে বাধ্য করছে। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক যাত্রীদের সে দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করছে। তাই চট্টগ্রামের যে সকল হাজীগণ আগের মতো ঢাকা হয়ে জেদ্দা কিংবা মদিনা যেতে ইচ্ছুক তারা যাতে আগের নিয়মে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে চেকিং করে গমন করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান সুজন। তিনি আরো বলেন বিগত দুই বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে ট্রাভেল এজেন্সীগুলোর ব্যবসা বন্ধ ছিল। অনেক এজেন্সী লোকসানের ধকল সইতে না পেরে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার ধীরে ধীরে সকল বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। এ অবস্থায় যদি ট্রাভেল এজেন্সীগুলো তাদের কাংখিত ব্যবসা করতে না পারে তাহলে এ খাতে ধস নেমে আসবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সবসময় বিশাল একটি অংশ ওমরাহ আদায় করতে সৌদি আরব যায়। পবিত্র রমজান মাসে সে সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পায়। তাই রমজান মাস আসার পূর্বেই বিমানের সীট বৃদ্ধি করা এবং চট্টগ্রাম-জেদ্দা ও চট্টগ্রাম-মদিনা বিশেষ ফ্লাইট চালু করার জন্য বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী, বিমান বাংলাদেশের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন।