এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
সুরক্ষা মানুষের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে বড় একটি জনগোষ্ঠী ১২ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী রয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অসচেতনতার কারণে শতকরা ৯৫ ভাগ কিশোরীর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অথচ অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও উপলব্ধি না থাকায় কিশোরী মাতৃত্বহার বাড়ছে। তাই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে লজ্জা নয় বরং সচেতন হওয়া জরুরি।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ইপসার আয়োজনে আইআরসি সার্বিক সহযোগীতায় মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শোভন দত্তের সভাপতিত্বে ও
রামু-চকরিয়া ইপসার প্রজেক্ট অফিসার হেলথ মোহাম্মদ রাশেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপসা চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার ফিরোজা ঝুমুর।
এতে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: রুবেল পালিত, ডা: উমর হায়দার, ডা: রিফাত আরা নুর, ডা: মোহাম্মদ জুবাইর, ডা: শামীমা সোলতানা, ডা: কাজী খোরশেদ আলম, ডা: মঈনুল হোছাইন, সাংবাদিক এম.মনছুর আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হেলথ ইন্সপেক্টর ইনচার্জ নজির আহমদ, হেলথ ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইপসার কমিউনিটি মোবালাইজার মোহাম্মদ রফিক, ফরজানা আহমেদ জেরিনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
মতবিনিময় বক্তারা আরও বলেন, দেশে বিভিন্ন সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন হলেও এখনো কিশোরী মাতৃত্বহারের উল্লেখেযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এতে করে বোঝা যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ খুবই কম। কারণ স্বাস্থ্যসেবা বিষযক যেসব নীতিমালা, কর্মসূচি ও সেবা সমূহ রয়েছে। সেখানে কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের জীবন বাস্তবাতা, প্রয়োজন ও চাহিদাগুলো বিবচনায় নিয়ে তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক প্রতিফলন হয় না। তাই যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে লজ্জা না করে সচেতন হতে হয় কিশোর-কিাশোরী ও তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্যতা দূরীকরণে সামাজিক সহনশীলতা এবং যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বরোপ করা হয়।
এছাড়াও যৌনপ্রজনন স্বাস্থ্য জ্ঞান, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে লিঙ্গ সমতায় সামাজিক আন্দোলনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ অধিকার বিষয়ক কাজের সঙ্গে কিশোর-কিশোরী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পৃক্ত করতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নেটওয়াকিং বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন, চর্চা ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত করার কথা তুলে ধরেন বক্তারা।