মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:

দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আল্লামা ড. এম শমশের আলী বলেছেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যে ধ্যান ঘরটি আছে, সেখানে আমি আগেও আত্মনিমগ্ন হয়েছিলাম। কিন্তু এবার এসে দেখলাম নতুন ধ্যানঘর নির্মাণের কাজ চলছে এবং চমৎকার স্থাপত্যশৈলী নিয়ে এটি নির্মাণ হচ্ছে। গতকাল বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি বোধিছড়াস্থ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নির্মাণাধীন নতুন ধ্যানঘর পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, কোলাহল থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ এখানে এসে স্রষ্টা ও সৃষ্টির ভাবনায় আত্মনিমগ্ন হবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবে। স্রষ্টার সৃষ্টির অপার মহিমাকে উপলব্ধি করে তারা ঐশ্বর্যবান মানুষ হয়ে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে। পরে তিনি এক বিশেষ মোনাজাতে কোয়ান্টামের প্রতিষ্ঠাতা গুরুজী শহীদ আল বোখারীর এই উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন। শেষে ধ্যানঘর নির্মাণ কাজের ইট বহন সহ এটি নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদানও প্রদান করেন ড. এম শমশের আলী। এ সময় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ ও কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রো-অর্গানিয়ার সৈয়দ আল আমিন বলেন, ১৯৯৯ সালে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কোয়ান্টামের উদ্যোগে নির্মিত হয় প্রথম ধ্যানঘর। বর্তমানে নতুন নকশায়, নতুন উপকরণ ও ব্যতিক্রমী স্থাপত্যশৈলীতে কাজ চলছে ধ্যানঘর পুনর্র্নির্মাণের। এতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।