আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার):
বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতরিয়েছেন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ১০ বছরের লারিসাসহ ৬ সাঁতারু। এদের মধ্য ফেনী জেলার ফাজিল পুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবক সবার আগে সাঁতার শেষ করেছেন। তিনি প্রথম বার বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন। তার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৬ ঘন্টা ৩৪ মিনিট।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে ৬ সাঁতারু সাঁতার শুরু করেন। বাংলা চ্যানেল ১৭তম সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের স্রোতধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হয় সেন্টমার্টিনদ্বীপে।
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন,১০ বছরের মেয়ে সৈয়দা লারিসা রোজেন দ্বিতীয় বারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় ছিলেন তার মা। লারিসা সাড়ে চার ঘন্টা সাঁতরিয়ে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। সাগর উত্তাল থাকায় শেষ পর্যন্ত তাকে নৌকায় উঠে আসতে হয়।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি। আজ সফল হতে পারলে টানা ১৯ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়তে পারতাম । দশ বছরের মেয়ে লারিসা যদি আজ বাংলা চ্যানেল সফল ভাবে অতিক্রম করতে পারতো, সে সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারু হিসেবে বাংলা চ্যানেল সাঁতার অতিক্রমকারীর রেকর্ড অর্জন করতো ।
উল্লেখ্য বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথম বারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেই বার সাঁতারে অংশ নিয়ে ছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল হক সিনা ও সালমান সাইদ।