এস.এম.জুবাইদ ,পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় নিজের ঘর থেকে উচ্ছেদ করতে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা।
এসময় হামিদা বেগম (৪৫), ও তার ছেলে আবু নয়ন (১৮) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের কে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
১ এপ্রিল সকাল ৭ টায় উপজেলা মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদ্বিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা ঐ এলাকার মীর আহমদের স্ত্রী ও পুত্র।
স্থানীয় ও আহত পক্ষের মীর আহমেদ জানান, আমার পূর্বপুরুষের দীর্ঘদিনের দখলীয় বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করে আসছে একই এলাকার একটি সন্ত্রাসী চক্র। এমনকি ওই বসতঘরে থাকলে এক লক্ষ টাকা চাঁদাও দাবী করে তারা। গত মৌসুমে আমার লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়ে লবণ উৎপাদন করতে দেয়নি। এ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমার স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন যার নং ২১৭/২১। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত কে সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে নিদের্শ দেন। এ মামলাটি চলাকালে ওই মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা আমার বসতবাড়িতে গিয়ে পরিবারকে মারধর করে ঘরবাড়ী উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে। পরে মগনামা গ্রাম আদালতে আমি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং ১৬/২১ ইং। গ্রাম আদালত থেকে বেশ কয়েকবার আদালতে হাজির হাওয়ার জন্য তাদেরকে নোটিশ জারি করলেও তারা আদালতে হাজির হয়নি। এবং চেয়ারম্যানের রায় অমান্য করে প্রতিনিয়ত হামলা মারধর এবং চাঁদা দাবীসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে তারা। সর্বশেষ ঘটনারদিন সকাল ৭ টায় একই এলাকার মৃত জালাল আহমদের পুত্র ফরিদ আহমদ, ফরিদ আহমদের পুত্র আরিফ, মৃত আবদুল মালেকের পুত্র মাহাবুব আলম, রমিজের পুত্র শাকের, জমিরের পুত্র দিদারসহ ৮/১০ সংঘবদ্ধ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা দা, কিরিস, লোহা রড, হাতুড়ি নিয়ে আমার বসতঘরের বেড়া ভাংচুর করে এতে স্ত্রী হামিদা বেগম বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে মাথা কুপিয়ে জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় স্ত্রী কে বাঁচাতে আমার পুত্র আবু নয়ন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও কিরিস দিয়ে কুপিয়ে ও এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুত্বর জখম করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ভাংচুর সহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল ও ঘরের আলমিরায় রক্ষিত ৪৫ হাজার টাকা ও লুট করে নিয়ে যায়।
আরো জানান, আহত করে আমার স্ত্রী
হামিদার গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের একটি রকেট যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা এবং মেয়ের গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের একটি চেইন যার মুল্য ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এমনকি আমার মেয়েকে গলায় চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। পুনরায় কোন মামলামোকদ্দমা করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওই সন্ত্রাসীরা। আমি প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে হামিদা বেগম বাদী হয়ে ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পেকুয়ায় থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত কানন সরকার জানান এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।