বিনোদন ডেস্ক: শান্তির ধর্ম ইসলামের পথে পুরোপুরি মনোনিবেশ করায় অভিনয় একেবারে ছেড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ঈশিকা খান। এর আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ অ্যানি খানও ইসলামের পথে এসে অভিনয় ছেড়েছিলেন।
বলা যায় বিয়ের পরেই অনেকটা শোবিজ দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ঈশিকা। কেননা বিয়ের পর তাঁকে থিতু হতে হয় ইংল্যান্ডে।
দেশটির লন্ডন শহরে বসবাস করতে শুরু করেন স্থায়ীভাবে। ফলে দেশের শোবিজ অঙ্গনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তেই থাকে। অথচ মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করা এই মডেল নিজের নামের সঙ্গে দ্রুতই জনপ্রিয় শব্দটি যুক্ত করে ফেলেন।
ঈশিকা অভিনয় করছিলেন, করছিলেন উপস্থাপনাও। ক্যারিয়ারের বৃহস্পতি যখন তুঙ্গে, হঠাৎ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এখন স্বামী-সংসার নিয়েই ব্যস্ত ঈশিকা। অভিনয়ে ফেরার কথা আর মোটেও ভাবছেন। সংসার ও বাচ্চাদের বড় করার পেছনে সময় দেবেন। এছাড়াও বাকি সময়টা ইসলামী কাজে মনোনিবেশ করবেন।
সম্প্রতি ঈশিকা গণমাধ্যমকে বলেন, আমি অভিনয়ে আর নিয়মিত হতে পারছি না। সে সময়টা এখন আর নেই। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একেবারেই মিডিয়া ছেড়ে দিয়েছি। নিয়মিত ধর্ম-কর্ম পালনের চেষ্টা করছি। এদিকে বাচ্চারা বড় হচ্ছে, পড়াশোনা শুরু করছে। তাদেরকে ভালোভাবে মানুষ করতে হবে। বাচ্চাদের সময় দেওয়া এখন আমার প্রধান কাজ।
গত বছরের শেষভাগে ঈশিকা নিয়মিত হিজাবও পরা শুরু করেন।
লন্ডনে থাকলেও বর্তমানে তিনি ধর্মে-কর্মে মনোযোগ দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা যায় তার ছবিতে পরির্বতন। যেখানে যাচ্ছেন তিনি নিয়মিত হিজাব পরে বের হচ্ছেন। এছাড়া তিনি নিয়মিত নামাজও আদায় করেন।
অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় ঈশিকা প্রথম ‘রবি’র একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন। এরপর বিয়ের আগ পর্যন্ত উপস্থাপনা ও অভিনয়ে টানা কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে বিয়ের পর স্বামীর ব্যবসাক্ষেত্র লন্ডনে থিতু হয়েছেন ঈশিকা। তবে এরমধ্যেও কাজে দেখা গেছে তাকে। দেশে এসে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন নাটকের শুটিং করেছেন। ঈশিকা তার স্বামী-সন্তান নিয়ে ব্রিটেনের দক্ষিণ লন্ডনের সাটন শহরে বসবাস করছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।