হ্যাপী, করিম, মহেশখালী :
সুদের টাকা দিতে না পারায় ভিটেবাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বৃদ্ধ আব্দুল হোসেন ও তার পরিবারকে।

৪ বছর আগে মধ্যম ডেইল পাড়া এলাকার সুদখোর আলী চাদেঁর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ছিলেন বড় মহেশখালী এলাকার পশ্চিম পাহাড় তলীর বৃদ্ধ কৃষক আবুল হোসেন। সেই টাকা পরিশোধ করার জন্য সুদে-আসলে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েও রেহাই মিলেনি তার। শেষ পর্যন্ত মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র ভিটেবাড়িটুকু আলী চাদেঁর নামে লিখে দিতে জোর করে আবুল হোসেন ও পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন আবুল হোসেন। সিনেমার মতো মনে হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পশ্চিম পাহাড় তলীর গ্রামের দরিদ্র এই কৃষকের।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম পাহাড় তলী জামে মসজিদের সামনের ফাঁকা জায়গায় খোলা আকাশের নিচে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাটিতে বসে আছেন বৃদ্ধ আবুল হোসেন। খেতে না পেয়ে শিশুরা কান্নাকাটি করছে। পাশেই আবুল হোসেনের দখলকৃত বাড়িতে স্থানীয় প্রভাবশালী সুদখোর আলী চাদেঁর নেতৃত্বে বসেছে দরবার।

এলাকাবাসী জানান, চড়া সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দাদন ব্যবসায়ী শাহিন শাহ গোপনে বাড়িটি লিখে নিয়ে ফের প্রতিবেশী সুমনের কাছে বিক্রিও করে দেয়। এখন বাড়িটি দখলে নিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক জানান, বাড়িটি ফিরে পেতে তারা মহেশখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও তাদেরকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন আলী চাদ ও তার লোকজন।

এ বিষয়ে আলী চাদ বলেন, তিনি সুদের কোনো কারবার করেন না। সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে ওই জায়গাটি তিনি কিনে অন্য আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছেন। এখন তার নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সামাজিকভাবে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়। তবে এলাকা ছাড়ার হুমকি-ধামকির বিষয়টি সঠিক নয়।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ আব্দুল হাই জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বৃদ্ধ কৃষক আবুল হোসেনকে।