মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
পেকুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক আজাদী ও দৈনিক নয়দিগন্তের পেকুয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ ছাফওয়ানুল করিম ছাফওয়ান সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরতর আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার ১৬ এপ্রিল পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী ১১০০/৬ নম্বর স্মারকে এক অফিস আদেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি, মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবুল মনসুর ও স্যাকমো এমডি জিয়া উদ্দীনকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশ-এ বলা হয়-পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত নিরাপত্তা প্রহরী মিফতাহ উদ্দীন কর্তৃক “পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় দৈনিক আজাদীর প্রতিনিধির উপর হামলা” শীর্ষক সংবাদ পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে তাঁর কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ১৫ এপ্রিল পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্থায়ী নাইট গার্ড মিফতাহ উদ্দিন এর নেতৃত্বে তার দুই ছেলে রাসেল ও ছোটনসহ ৭ জন সন্ত্রাসী মোঃ ছাফওয়ানুল করিম এবং তার ছোট ভাই এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পেকুয়া শাখার কর্মকর্তা জিল্লুল করিম এর উপর হামলা চালায়। এতে ২ জনই আহত হয়।
সাংবাদিক ছাফওয়ান জানান, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নেওয়ার সময় অনৈতিকভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী মিফতাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অসংখ্য ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সেই অভিযোগ পেয়ে মিফতাহ উদ্দিনের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।