এস.এম.জুবাইদ,পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সুমি আক্তার (২৪) নামের দু সন্তানের জননীর রহস্যজনক আত্ম হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় রহস্য জন্ম নিয়েছে পুরো এলাকায়।
১৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদি টেকপাড়া এলাকায় নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার নাজেম উদ্দিনের স্ত্রী।
ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানান, ২০১৪ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক টইটং ইউনিয়নের মধুখালী এলাকার আমীর হোসেনের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে সদর ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার নাজেম উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবনে কুলজুড়ে আসে এক ছেলে এক মেয়ে। এলাকাবাসী আরো জানান, নাজেম উদ্দিনের সাথে বিয়ের আগে থেকে জনৈক এক মেয়ের অবৈধ সর্ম্পক ছিল। ওই মেয়ের সাথে সর্ম্পক থাকার পরও পারিবারিক ভাবে সে সুমি আক্তার কে বিয়ে করে ঘরে আনে। বিয়ের পরও সে ওই মেয়ের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত থাকে বিষয়টি বিবাহ করা তার স্ত্রী সুমি আক্তার জানতে পারে। সে বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে। স্বামীর দীর্ঘ দিনের পরকিয়ায় বাধা দিলে তার উপর চলে আসে নির্মম নির্যাতন। কিন্তু তাও সহ্য করে সংসার চালিয়ে গেছে সুমি আক্তার নামের এই গৃহবধূ। শেষ পর্যন্ত সেই পরকিয়া প্রেমের বাধার বলি হতে হলো গৃহবধূ সুমি আক্তারের।
গৃহবধূর স্বামী নাজেম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সকালে আমার সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যায় চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরে দেখি রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা। তথন আমি লক ভেঙ্গে রুমের দরজা খুলে দেখি আমার স্ত্রী সুমি আক্তার ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। তার কাছ থেকে পরকিয়ার অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি জানান বিয়ের আগে জনৈক এক মেয়ের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিল আমার তা এখন নেই। স্ত্রীর সাথে আপনার মনোমাল্যর বিষয় ছিল কিনা জানতে চাইলে মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
ওই গৃহবধুর ভাই কাউচার উদ্দিন বলেন কি কারণে আমার বোন আত্মহত্যা করলো আমি কিছুই জানি না। তবে এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করছি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার ঘটনার সত্যতা জানিয়ে তিনি বলেন সকালে আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।