কামাল শিশির, রামু:

শনিবার ১৬ এপ্রিল মোটরসাইকেল নিয়ে ঈদগড় ইউনিয়ন চরপাড়া গ্রামের ইছহাক মিয়ার তৃতীয় পুত্র শহীদুল ইসলাম (২২) বাইশারী ইউনিয়ন এর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগড় বাজার সমিতি বাগান নামে এলাকায় ভাড়ায় গেলে ঐ দিন থেকে শহীদুর কোন খোঁজখবর না থাকায় আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে গত ১৮ এপ্রিল ঈদগড় বড়বিল চরপাড়া এলাকার রশিদ আহমদের মেয়ে রোজিনার বিরুদ্ধে রামু থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। জানা যায়, রোজিনার সাথে চালক শহিদুল ইসলাম এর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারই সুত্র ধরে রোজিনার সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়।

পরে ১৯ এপ্রিল উল্লেখিত বাগানের গভীর খাদে শহীদুল্লাহর লাশ দেখতে পায় লোকজন।
সংবাদ পেয়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহত শহিদুল্লাহ ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক বিবাহিত যুবক ছিলেন। পাশাপাশি ঈদগড় ব্লাড ডোনার্স ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য ছিলেন। এছাড়া একটি ইউটিউব চ্যানেলের মালিক ছিলেন।

জিডির সুত্র ধরে পুলিশ ঈদগড় ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার রশিদ আহমদ এর মেয়ে রোজিনা আক্তার কে ঈদগড় মেডিকেল সেন্টারে নার্সের দায়িত্ব পালনকালে ১৯ এপ্রিল বিকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে শহীদুল্লাহ নিহতের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার এবং বিচারের দাবিতে রামু ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি ,ঈদগড় ব্লাড ডোনার্স ক্লাব,ঈদগড় সৃজন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, ঈদগড় প্রাক্তন ছাত্র সংসদ, ঈদগড় মোটরসাইকেল চালক সমবায় সমিতিসহ আরো নানা সংগঠন এবং বিভিন্ন মহল স্যোশাল মিডিয়ায় জোর দাবি জানান।