বার্তা পরিবেশক:
সম্প্রতি কক্সবাজারের পিএমখালীতে চাঞ্চল্যকর মোর্শেদ হত্যা হামলায় জড়িত না থেকেও মাহমুদুল করিমকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যাভাবে হয়রানিমূলক আসামী করার অভিযোগ আনলেন স্থানীয় লোকজন। এই অভিযোগ করে মাহমুদুল করিমকে থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে তারা।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পিএমখালীর গোলারপাড়া এলাকায় এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে এলাকার শত মত নারী-পুরুষ অংশ নে। একই সাথে তারা নিরাপরাধ মোর্শেদকে নির্মমভাবে প্রকৃত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, মাহমুদুল করিমের সাথে নিহত মোর্শেদ আলীর কোনো ধরণের শত্রæতা ছিলো না। কোনো ধরণের লেনদেনও ছিলো না। ছিলো না কোনো ধরণের দ্ব›দ্ব-বিবাদ। তাই এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সাথে সমাজসেবক মাহমুদুল করিমের কোনোভাবেই সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই উঠে না।
স্থানীয়রা আরো বলেন, যারা শত শত মানুষের সামনে মোর্শেদকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তারা সবাই চিহ্নিত। তাদের সাথেও মাহমুদুল করিমের কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। বরং নানা কারণে তাদের সাথে বিবাদ রয়েছে। মামলার এজাহারে মাহমুদুল করিম লাঠি দিয়ে মোর্শেদকে পিটিয়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তখন তিনি কক্সবাজারে শহরে অবস্থান করছিলেন। যা শহরের বিভিন্ন সিসিটিভি সংরক্ষিত আছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মাহমুদুল করিম একজন জনদরদী সমাজসেবক। তিনি এলাকার সকল স্তরের মানুষের দুঃসময়ে ছুটে যান। একারণে ইউনিয়নবাসীর কাছে তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই একারণে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে মামলার আসামী করে দিয়েছে।
মানবন্ধনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, মোর্শেদ হত্যাকান্ডটি অত্যন্ত নৃশংস ও নারকীয়। এই হত্যার জড়িত তাদের ফাঁসি হতে হবে। একই সাথে নিরাপরাধ যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। মাহমুদুল করিম নির্দোষ, তাকে অব্যাহতি দেয়ার আহŸান জানান তারা।
এদিকে মোর্শেদ হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুর রহিম জানিয়েছেন, যে স্থানে মোর্শেদকে হত্যা করা হয়েছে তার পাঁচ ফুট দূরে তার দোকান। তিনি মোর্শেদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে গুলি করার হুমকি দেয় হত্যাকারীরা।
আবদুর রহিম বলেছেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে তিনি দেখেছেন। সেখানে মাহমুদুল করিম ছিলো না।
পিতাকে মিথ্যাভাবে হয়রানিমূলক আসামী করায় মানবন্ধনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানান মাহমুদুল করিমের সন্তানেরাও। তারাও প্রকৃত খুনিদের ফাঁসি দাবি করে তার বাবাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আহŸান জানান।
মানবন্ধন শেষে মোর্শেদ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও মাহমুদুল করিমকে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় লোকজন।