এস.এম.জুবাইদ,পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় গৃহহীন ও ভুমিহীন ৪০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ে জমি এবং গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গৃহহীন পরিবারগুলোকে ঘরের চাবি ও জমির দলিল বুঝিয়ে দিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন।
উদ্বোধনী অনুষ্টান উপলক্ষ্যে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ¦ জাফর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) বিভীষণ কুমার দাস, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিন্নাত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম মিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত শহিদুল্লাহ, পশু ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ যে, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে শেখ হাসিনা সরকার ‘গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবার গুলোকে মাথা গুঁজার ঠাঁই করে দিতে দেশব্যাপী গৃহহীনদের জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় পেকুয়া উপজেলায় নতুন করে আরও ৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ নতুন বাড়ি পেয়েছেন। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, প্রতিটি ঘর নির্মিত হচ্ছে ২ শতক জমিতে। ৪০ গৃহহীন পরিবারের জন্য ৮০ শতক জমিতে নির্মিত হয়েছে পাকা ঘর। দুই রুমের ঘরের সাথে রান্নার ঘর ও বাথরুম এবং একটি বারান্দা রয়েছে। প্রত্যেক ঘরে জ্বলবে বৈদ্যুতিক বাতি। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি খাবারের জন্য রয়েছে টিউবওয়েল ব্যবস্থা। ঘরগুলো নির্ধারিত ডিজাইন অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পিআইসির সার্বক্ষনিক তদারকির মাধ্যমে সুদক্ষ কারিগর দ্বারা সুচারুরূপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রতিটি উপকারভোগির জীবন বদলে যাওয়ার এ গল্পের রূপকার প্রধানমন্ত্রী আর এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন মনিটরিং ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। ২০২১-২২ অর্থ বছরে নির্মানাধীন গৃহের সংখ্যা ৪০টি।
এদিকে উপকারভোগীদের কে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করার পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অর্থায়নে চিনি, দুধ, সেমাইসহ বিভিন্ন ঈদ উপকরণ তুলে দিয়েছেন।
এদিকে ঘর পেয়ে মহা খুশিতে আত্মহারা হয়ে রোকিয়া বেগম নামের এক উপকার ভোগী আবেকাপ্লুতকন্ঠে বলেন, আমি আজ মহা খুশি। আমার স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ একটি ঝুপড়ি ঘরে দিনযাপন করে আসছি। কখনো ভাবিনি পাকা ঘরে আমি আমার পরিবার নিয়ে থাকতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী সেই সুযোগ করে দিয়েছেন আমি নামাজ পড়ে ওনার জন্য দোয়া করবো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলহাজ¦ জাফর আলম এমপি বলেছেন, কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার আমলে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের কে জমি ও ঘর দিয়ে মাথা গুজার ঠাই করে দিয়েছেন। তিনি হিজড়াদের সম্প্রদায়কেও দেশে আয় রোজগার করে বেচে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। ওনার আমলে মহিলা নানা ধরণের ভ্রাতা পাওয়া ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একসময় বিভিন্ন জায়গায় (মুজিব কিল্লা) আশ্রয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে বি এন পি সরকার ক্ষমতায় এসে সেই মুজিব কিল্লা খান খান করে পেলে।