বার্তা পরিবেশক:
উখিয়া পালংখালীর কায়সার উদ্দীন ও রামুর ফতেখাঁরকুলের শারমিন আকতার নামের এক প্রেমিক জুট পালিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন কায়সার উদ্দীনের পরিবারের সদস্যরা। শারমিন আকতারের পরিবার থানায় মিথ্যা অভিযোগ করায় হয়রানির মুখে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক জুটি কায়সার উদ্দীন ও শারমিন আকতার দুইজনই বিবাহিত এবং স্ত্রী ও স্বামী রয়েছে। কায়সার উদ্দীনের চার বছরের এক সন্তানও রয়েছে। এর মধ্যে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনই পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এর অংশ হিসেবে গত ১৭ মার্চ দুজনই পালিয়ে যায়। দুই পরিবারের লোকজন অনেক চেষ্টা করে পাঁচদিন পর কক্সবাজার শহরের একটি হোটেল থেকে খুঁজে বের করেন। এরপর উভয়পক্ষের সম্মতিতে সম্মানের চিন্তা করে চুপে চুপে শারমিন আকতারকে নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন কান্ড ঘটাবে না বলে মুচলেখা নেয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে চলতি মাসের তারিখ আবার গোপনে দুইজন পালিয়ে গেছে। দুই পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তারা মুঠোফোনে জানায় তারা একে অপরকে ভালোবেসে সংসার পাতবে। শারমিন আকতার তার এমন দৃঢ় বক্তব্য দুই পরিবারের লোকজনকে জানিয়েছে- রেকর্ড রয়েছে।
কায়সার উদ্দীনের পরিবারের লোকজন জানায়, কায়সার উদ্দীন পালিয়ে যাওয়ায় এক সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। ঠিক মতো খেতেও পাচ্ছে না। স্বামীকে এভাবে পরকিয়া প্রেমিক পালিয়ে যাওয়ায় স্ত্রীর কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
কায়সার উদ্দীনের মা শাহেনা আকতার বলেন, দুই দফায় কায়সার উদ্দীন ও শারমিন আকতার পালিয়ে যাওয়া দুই পরিবারের লোকজন মিলে তাদের খুঁজেছি। কিন্তু পাচ্ছি না। এটা নিয়ে শারমিন আকতারের মা শুরু থেকেই আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি কারো কুপ্ররোচনায় তার আচরণ পরিবর্তন করে ফেলেছেন। যার কারণে আমাদেরকে অভিযুক্ত করে তিনি থানায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমাদেরকে চাপ দিচ্ছে। কায়সার উদ্দীন পালিয়ে যাওয়ায় এমনিতে আমরা মরণাপন্ন হয়ে গেছি। তার উপর মিথ্যা অভিযোগে চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমরাও তাদের সন্ধান চাই। আর কায়সার উদ্দীনকে খুঁজে করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। অযথা আমাদের হয়রানি না করার অনুরোধ করছি।
কায়সার উদ্দীনের মামা সাইফুল ইসলাম বলেন, মেয়ে যেহেতু বিবাহিত, তাই মান সম্মানের ক্ষতি হওয়ায় মা আমাদের সহযোগিতা চান। তখন আমিসহ দৌড়াদৌড়ি করে দুই পরিবারের লোক মিলে প্রথমবার তাদের খুঁজে বের করি। তারা আবার পালিয়ে গেলে শারমিন আকতারের মা ফঁতেখারকুল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টুকে নালিশ দেয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, উভয়পক্ষ মিলে খুঁজে বের করবে। কিন্তু হঠাৎ করে শারমিন আকতারের মা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় অভিযোগ করে। মূলত কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমাদের হয়রানির করার জন্য এটি করেছে।