ইমাম খাইরঃ
ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক সমাগম ঘটেছে। বিশেষ করে শুক্রবার (৬ মে) পর্যটকের রেকর্ড হয়েছে।
সমুদ্রতীরবর্তী সাড়ে চারশতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজে রুম খালি নেই। সাগর পাড়ের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটক আগমনে ব্যবসায়ীদের আশার সঞ্চার হয়েছে। করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে তারা।
এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। কাজ করছেন ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
টুরিস্ট পুলিশ, বীচ কর্মী ও লাইফ গার্ডের সদস্যরা ও সারাক্ষণ পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
নিরাপদ সৈকতে মানুষ আর মানুষ। দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে সমুদ্রস্নান সারছে তারা। মেতে উঠেছে হৈ-হুল্লোড়ে। শুক্রবার সাগরপাড়ে অন্তত এক লাখ পর্যটক হবে মনে করছেন স্থানীয়রা।
হোটেল রিগ্যাল প্যালেসের পরিচালক আরকান মাহমুদ বলেন, ঈদের দিন থেকে ব্যবসা খুব ভাল যাচ্ছে। প্রায় হোটেলের রুম বুকিং। আমরা ব্যবসার পাশাপাশি পর্যটক সেবা নিশ্চিত করছি।
তিনি বলেন, করোনাকালে বিগত দুই বছর প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পর্যটক আগমনে নতুন আশা দেখছি।
টুয়াক সভাপতি এম রেজাউল করিম রেজা বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঈদের মৌসুমে আশানুরূপ পর্যটক সমাগম ঘটেছে। ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি সব ধরণের ব্যবসায়ী সন্তুষ্ট।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিঅনের অতিরিক্ত সুপার রেজাউল করিম বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাতে পর্যটকরা খুব খুশি।
তিনি বলেন, কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮ টি টিমসহ সাদা পোশাকধারী সদস্যরা রয়েছে। লাইফগার্ড, বীচ কর্মীরাও কাজ করছে। আমাদের কঠোর অবস্থানের কারণে এখনো পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটে নি।
এদিকে, সম্প্রতি কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপরাধরোধে পুলিশের অবস্থান কঠোর।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টসহ অন্যান্য পর্যটন এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধের নিমিত্তে ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন, কাজী মোঃ মাহমুদুর রহমান, সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, আরাফাত সিদ্দিকী ও নিরুপম মজুমদার।
মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ৯ মে পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। শেষে প্রতিবেদন দাখিল করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।