বার্তা পরিবেশক :
আসন্ন কক্সবাজারের বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অসাধু চক্র। চক্রটি নৌকা প্রতীক হাসিল করতে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে এই ইউনিয়নে ওই চক্রের মূলহোতা বহুল বিতর্কিত সিরাজ মিয়া বাঁশি নৌকার মাঝি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সিরাজ মিয়া বাঁশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েও দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একাধিকবার বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। বিগত ২০১৬ সালের সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে তিনি কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ নৌকার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন। যার জন্য তৎকালীন নৌকার মনোনীত প্রার্থী বেকায়দায় পড়েছিলেন। এছাড়া গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি। ওইসময় সিরাজ মিয়া বাঁশি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সিএনজি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, হেফাজত নেতা মৌলানা মামুনুল হক গ্রেফতার ইস্যু নিয়ে মহেশখালীতে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সিরাজ মিয়া বাঁশি নানানভাবে সমালোচিত হন। ওইসময় তিনি সংঘঠিত ঘটনার মামলায় হাজারো সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে ঘরছাড়া করে। তাছাড়া প্রকাশ্যে মসজিদের ভেতর নামাজ পড়া অবস্থায় মুসল্লীদের পিঠিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এছাড়া নতুন বাজারের মাঠ এবং বাজারে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও নির্যাতন করে। এসময় তিনি মাঠের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে সমালোচলার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাকর্মীরা জানান, সিরাজ মিয়া বাঁশি জনবিচ্ছিন্ন। আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে তাঁর কোন যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক নাই। তাছাড়া গোষ্ঠীগত ঐতিহ্য না থাকায় নেই নিজস্ব কোন ভোট ব্যাংক। ফলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে ব্যাপক ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
তাই বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সিরাজ মিয়া বাঁশিকে দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার জন্য দলীয় হাইকমান্ডের সুনজর কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজ মিয়া বাঁশি বলেন, নির্বাচন আসলে অনেকেই অনেক কথা বলেন। বিগত সব নির্বাচনে আমি নৌকার জন্য কাজ করেছি। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যারা ষড়যন্ত্র করছে তাঁরা নৌকা প্রতীক পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা অতীতে কাজ করেছে তারা নৌকা প্রতীক পাবেনা। বিদ্রোহীরাতো প্রশ্নেই আসে না।