নিজস্ব প্রতিবেদক, কুতুবদিয়া:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় মোঃ আক্কাছ নামে এক দিনমজুরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয়দান কারী এবং তাঁর সহযোগী দুইজনের বিরুদ্ধে।
তাঁরা হলেন,দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের পুত্র নাইমুল ইসলাম (২৩) এবং তাঁর দুই সহযোগী মো.হোসনের পুত্র মো. মনির (১৯) এবং মৃত ঠান্ডা মিয়ার পুত্র জালাল উদ্দীন (১৮)।
বুধবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দক্ষিণ ধূরুং সিকদার পড়ার মসজিদের পশ্চিম পাশে এ
ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় কুতুবদিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী দিনমজুর মো. আক্কাছ একই এলাকার মজিবুর রহমানের পুত্র। আহতঅবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশংকা জনক হাওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ব্যবসার জন্য আরিফকে ৫০ হাজার টাকা দিতে যাওয়ার সময় দক্ষিণ ধূরুং সিকদার পড়ার মসজিদের পশ্চিম পাশে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আব্দুল মালেকের পুত্র নাইমুল ইসলাম (২৩) এবং তাঁর দুই সহযোগী মো.হোসনের পুত্র মো. মনির (১৯) এবং মৃত ঠান্ডা মিয়ার পুত্র জালাল উদ্দীন (১৮) হত্যার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে আক্কাছকে হামলা করে। এসময় তাদের কাছে থাকা লোহার রড, ছোরি, লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয় এবং তাঁর কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
সে ইতিপূর্বে ও অসংখ্যবার বিভিন্ন জনের সাথে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে বলে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, মোবাইল, টাকাপয়সা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে বলে তারা উল্লেখ করেন৷
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দীন তুহিন জানান, ছাত্রলীগে সন্ত্রাসীর কোন জায়গা নেই। ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে কেউ যদি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে তাঁর দায়বার ছাত্রলীগ নিবে না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ওসি তদন্ত আমিন কাদের খাঁন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।