রাজু দাশ,চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর- লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বুধবার রাত ৮টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঘুণিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার চকরিয়া থানায় মোঃ ইলিয়াছ বাদী হয়ে এজাহার দাখিল করেন।
এজাহার বিবরণে জানা যায়, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মোঃ ইলিয়াছ সঙ্গে একই এলাকার মৃত মোক্তার আহমেদ ছেলে আবদুল্লাহ সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিবোধ চলে আসছিল। শত্রুতার জের ধরে আবদুল্লাহ নেতৃত্বে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ, একই এলাকার আবদুজব্বার ছেলে রিফাত, ৯নং ওয়ার্ডের জসিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহীন, ফাঁসিয়াখালী ৫নং ওয়ার্ডের আবদু শুক্কুর ছেলে জসিম উদ্দিন একই এলাকার আক্তার আহমেদ ছেলে নুর মোহাম্মদ সহ স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং মামলার আসামিরা দা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও হাতুড়ি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইলিয়াছ বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। লুটপাট ভাংচুরে বাঁধা দিলে ইলিয়াছকে টানাহেছড়া করে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ মারে। মাটিতে পড়ে গেলে দেশীয় অস্ত্র, হাতুড়ি, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে তারা। হামলার মারধর ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা তাছপ্রিয়া জন্নাত (১৪) আরফাতুল হোসাইন (১৬) নুরুন্নাহার (৩৫) মোঃ আফজাল (১৭) কে আহত করে। পরিবারের লোকজন তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী ইলিয়াছ জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার রাত ৮টার দিকে আমার বসত বাড়িতে ধারালো চাপাতি, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি,লোহার রড,কাঠ, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বসতঘরের দরজা, জানালা ভাংচুর করতে থাকে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে ঘুম থেকে জাগ্রত হয় পরিবারের সদস্যরা। এ-সময় সন্ত্রাসীদের ভাংচুর করতে বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাকে বাঁচাতে আমার স্ত্রী তিন ছেলে মেয়ে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ-সময় আমার ছেলে মোঃ বেলালকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার জন্য অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানান। স্থানীয় চেয়ারম্যান চকরিয়া থানায় অবগত করেন। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঈন উদ্দীন একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ-সময় সন্ত্রাসী বাহিনীর ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেন। বিবাদীরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আমাদের লাশ গুম করব। আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় জীবনযাপন করছি। এঘটনায় আমি থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছি। হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তবে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসা করার কথা বলেন। চেয়ারম্যান সুরহা করতে না পারলে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।