মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:
২১ মে শনিবার সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ১০টি ভেন্যুতে উদযাপিত হলো বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের বর্ণিল উৎসব। এতে অংশ নেন ২ হাজার ৪১৪ জন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে দেশ বিদেশের লাখো মানুষ এদিন অংশ নিয়েছেন কোয়ান্টামের নানামুখী সব আয়োজনে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মা-জী নাহার আল বোখারীর ৮ মিনিটের একটি অডিও শুভেচ্ছাবাণীর মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের সকালের প্রোগ্রাম। অডিওতে তিনি বলেন, ‘শুদ্ধাচারী মানুষকে বলা হয় ভালো মানুষ। আর শুদ্ধাচারী হতে হলে আমাদের মানসিকভাবে স্থির হতে শিখতে হবে। এই স্থিরতা এনে দেবে মেডিটেশন বা ধ্যান।’ এরপর শুদ্ধাচার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। তারপর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গুরুজী শহীদ আল বোখারীর কণ্ঠে ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ’ শিরোনামে একটি অডিও মেডিটেশনে অংশ নেন উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা। সেখানে শহীদ আল বোখারী বলেন, শত শত গবেষণায় প্রমাণ হয়েছেÑধ্যান মনকে স্থির করে, দেহকে শিথিল করে এবং ৭৫ ভাগ অসংক্রামক রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই আসুন আমরা ধ্যান চর্চায় আগ্রহী হই। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ ছিল ধ্যানের দেশ, ভালো মানুষের দেশ। ধ্যানী, সমমর্মী, সদালাপী, সামাজিক ও সৎ মানুষ ছিল আমাদের পূর্ব পুরুষরা। ধ্যানের পথ ধরে আবারো আমরা হয়ে উঠতে পারি সৎ ও দক্ষ মানুষ। এই ভালো মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে তত আমাদের দেশ ভালো দেশে পরিণত হবে।’
অপর দিকে একই দিন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়েও ৫টি ভেন্যুতে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালিত হয়। এতে মোট অংশ নেন ১১৭৪ জন পুরুষ ও ৪১৫ জন নারী। এছাড়াও কোয়ান্টামমের কোয়ান্টা মঞ্চে আয়োজিত হয় বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের সকালের পর্ব। এখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৭৪ জন ধ্যানী। সূর্যোদয়ের পর কোয়ান্টামমের প্রশান্তিময় পাহাড়ি পরিবেশ আরোগ্যশালায় সমবেত হয় কোয়ান্টামের সকল স্তরের কর্মী ও তাদের পরিবারবর্গ ও স্থানীয় অধিবাসীসহ ২৭৮ জন মানুষ। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের লামা সেন্টারের উদ্যোগে সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়ার পুলিশ ফাড়ি ব্যাডমিন্টন মাঠ ও আন্ধারি জামালপুর স্কুল মাঠে ও লোহাগাড়ার শাহপীর স্কুলে উদযাপিত হয় মেডিটেশন দিবস। স্থানীয় অধিবাসীদের ১৬৪ জন এতে সামিল হন। প্রসঙ্গত, গত তিন দশক ধরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সাধারণ মানুষের কাছে মেডিটেশনের এই কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের মেডিটেশন পদ্ধতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে কোয়ান্টামের ধ্যান পদ্ধতি। কোয়ান্টাম মেথড নামে পরিচিত এই মেডিটেশন পদ্ধতির প্রবর্তক গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক। যিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৮১টি ব্যাচে লক্ষ মানুষকে সরাসরি মেডিটেশনের কৌশল শিক্ষা দিয়েছেন বলে জানান কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।