পেকুয়া প্রতিনিধি :

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবার নদীর উপর ময়লারস্তুপে বসে ও শুয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কয়েকজন পরিবেশ কর্মী। তারা হলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র মহেশখালী আঞ্চলিক জোনের সদস্য সাংবাদিক দেলওয়ার হোছাইন ও নোঙর কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এফ এম সুমন । পেকুয়া উপজেলার অন্যতম খাল কহলখালী খালের উপর রাখা ময়লা আবর্জনা প্লাস্টিকসহ এককথায় দূষণে ভরপুর এই খালের উপর শুয়ে তারা প্রতিবাদ জানান।
এই সময় তারা প্রায় আধাঘন্টা ওই ময়লার স্তুপে শুয়ে থাকেন। তার পাশেই পেকুয়ার প্রধান সড়ক দিয়ে যাওয়া যাত্রীরা তাদের দিকে তাকিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এসময় প্রতিবাদকারীরা বলেন, এই খালটি আজ দখলও দূষণে একাকার,বলতে গেলে আজ খালটি দখলদারদের পেটে। সামান্য যা আছে তাতে যে পরিমাণ দূষণ তাতে নদীটি আর নদী নাই ।
তাই তারা এভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা আরো বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ, নদী আমাদের মা কিন্ত সেই নদী যেখানে দূষণ আর দখলে ভরপুর সেই মায়ের বুকেই আমরা শুয়ে আছি। এই ময়লার গন্ধে আমরা বিচলিত নই আমরা বিচলিত যে এই নদীর শেষকৃত্য হচ্ছে তা নিয়ে । আরও আচার্য্যরে বিষয় হচ্ছে ময়লার স্তুপের অপর পাশে একটি অভিযাত রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে প্রতিদিন দামি গাড়ী নিয়ে নামিদামি মানুষজন খেতে আসেন, রাস্তার পাশ দিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের ব্যাক্তি কর্তারা গাড়ী হাকিয়ে চললেও তাদের চোঁখ এড়িয়ে যায় এখালটি ।
তারা এই নদীটি উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বা ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ না হলে আমরন অনশন করবেন বলেও হুমকি দেন।
জানা যায়, বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সমস্যা সর্ম্পকে জনগণকে সচেতন করার জন্য দিবসটি ১৯৭৪ সাল থেকে পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘ঙহষু ঙহব ঊধৎঃয :খরারহহম ঝঁংঃধরহধনরষরঃু রহ যঁসধহরঃু রিঃয ঘধঃঁৎব, বা বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘একটি মাত্র পৃথিবী : প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন। বাস্তবে কথাটি সরল, কিন্তু এর গভীরতা অনেক বেশি। এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পেকুয়া উপজেলার অন্যতম খাল কহলখালী দখল ও পাহাড়ে দিন দিন মানুষের বসবাস অতিরিক্ত গাছ কাটা এবং পাহাড় দখলে বনজ প্রাণী ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে ফেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে পরিবেশ দিবসে পরিবেশকর্মীদের এমন ভিন্নধর্মী প্রতিবাদকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা । স্থানীয়রা বলছেন যেভাবে কহলখালী দখল হয়ে যাচ্ছে এভাবে নদীটি বিলুপ্ত হলে এই অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বর্ষা জলাবদ্ধতা বৃুদ্ধি পাবে। তাই দ্রুত খালটি উদ্ধার ও খননের দাবি জানান তারা।