প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সেচ্ছাসেবী সংস্থা পাালস্ (প্রোগ্রাম ফর হেল্পলেস্ এন্ড লেগ্ড সোসাইটিস) কর্তৃক পরিচালিত পালস্ বানি একাডেমির (আবাসিক) সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা অর্জন করলো স্বর্ণপদকসহ সতেরটি পদক ও চ্যাম্পিয়ান ট্রফি।

বাংলাদেশ তায়াকোয়ানদো ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত কোরিয়া এম্বাসেডর তায়কোয়ানদো চ্যাম্পিয়ানশীপ-২০২২ এ জুনিয়র নারী ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাল্স বানি একাডেমির আবসিক শিশুরা। ৪ টি স্বর্ণ পদকসহ অর্জন করেছে মোট ১৭ টি, সিলভার, ব্রোঞ্জ ও চ্যাম্পিয়ান ট্রফি।

৩০ জুন ২০২২ থেকে ১ লা জুলাই ঢাকার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে দুই দিন ব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় বানি একাডেমির মোট ১৩ জন শিশু অংশগ্রহন করেন। এ প্রতিযোগিতার পুরো বাংলাদেশ থেকে মোট চার’শত প্রতিযোগী অংশগ্রহন করেন। চার’শত শিশুর মধ্যে বিভিন্ন বয়সে ভাগ করে ফাইট এবং পুমচে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হাড্ডা হাড্ডি লড়ায় শেষে কক্সবাজার থেকে অংশগ্রহনকারি পালস্ বানি একাডেমির শিশুরা বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে ৪ টি গোল্ড মেডেল, এর মধ্যে তানিয়া ১টি, সুমাইয়া ২টি, আদিবা ১টি গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। ৬টি সিলভার মেডেল, এর মধ্যে সাদিয়া ২টি, শাহীন ১টি, রিসাত ২টি, আলভি ১টি সিলভার মেডেল অর্জন করেন। ৭টি ব্রোঞ্জ পদকের মধ্যে রুমা ২টি, জেসমিন ১টি, রিয়া ১টি, রেখা ১টি, রাজিয়া ১ টি, তানিয়া ১টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন। এবং জুনিয়র নারী ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে ২ জুলাই তারা কক্সবাজার পালস্ বানি একাডেমিতে ফিরে আসে। এসময় পালসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সংবর্ধনা জানান।

বানি একাডেমির শিশু সুমাইয়া বলেন “ আমরা প্রতিদিনই তায়াকোয়ানদো প্রাকটিস করি। ঢাকায় গিয়ে এর সার্থকতা আমরা পেয়েছি। যখন অতিথিরা মেডেল পরিয়ে দিচ্ছিলো তখন খুব আনন্দ লাগছিল। আসলে আমাদের কোচ,আর ম্যাডাম-স্যারদের জন্যই আমরা এ পুরস্কার পেয়েছি। তারা সব সময় আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন।”

শিশু আদিবা বলেন “ সব থেকে বড় কাপটা যখন হাতে নিচ্ছিলাম খুব খুশি লেগেছিলো। এত প্রতিযোগির সাথে প্রতিযোগীতায় জিতে আসবো ভাবতে পারিনি। আমাদের স্যার- ম্যাডামদের উৎসাহের কারনে এ জয় সম্বব হয়েছে।প্রতিদিন অনুশীলন,ঢাকায় নিয়ে আসা,নিয়ে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মত করছি কিনা সব কিছুর খেয়াল রেখেছেন আমাদের শিক্ষকরা। তাদের উৎসাহ আর আমাদের প্রচেষ্টায় ইনশাআল্লাহ আমরা সামনে আরো ভালো করবো।”

পালস বানি একাডেমির প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম সোহেল বলেন “ এ অর্জন শুধু আমাদেরই নয়, এটা পুরো কক্সবাজারবাসীর অর্জন। আমাদের শিশুরা দেখিয়ে দিয়েছে তারা কোন দিক দিয়েই কম নয়। তারাই দেশের যোগ্য উত্তরসূরি, আমাদের গর্ব।” তিনি জানান ২০২১ সালেও পালস্ বানি একাডেমির শিশুরা জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদকসহ ১৩ টি পদক অর্জন করেছিলো।

পালস্ এর নির্বাহী পরিচালক (অবৈতনিক) আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন “পালস্ (প্রোগ্রাম ফর হেল্পলেস্ এন্ড লেগ্ড সোসাইটিস) ১৯৯৬ সাল থেকে জেলার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অধিকার এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় পালস্-বানি একাডেমি বিশেষ লক্ষ নিয়ে বিগত দু’ বছর ধরে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত বিশেষ করে হতদরিদ্র/অসচ্ছল মেধাবী/এতিম শিশুদের শিক্ষাসহ বহুমাত্রিক দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠিতি সুনাগরিক হিসেবে যেন গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষে আবাসিক সুবিধাসহ উন্নত পরিবেশ নিশ্চত করে দীর্ঘ মেয়াদি বিশেষ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা গর্বিত আমাদের শিশুরা সমাজের সুবিধভোগী শিশুদের চেয়ে কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। এই অসাধারন অর্জনে তারা প্রমান করেছে সুযোগ আর সহযোগীতা পেলে তারাও নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা এবং দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সক্ষম।”