এম বশির উল্লাহ . মহেশখালী:
মহেশখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবারও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।১৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার )বড় মহেশখালীর মিয়াজির পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে । এতে বালি ভর্তি ডাম্পার চাপায় তাহমিদ নামে ৭ বছরের এক শিশু নিহত হয়। সকালে এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখলে উপজেলা প্রশাসন ও মহেশখালী থানার কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বড় মহেশখালীর মিয়াজির পাড়া এলাকায় বেলা ১১টার দিকে বালি ভর্তি ডাম্পার চাপায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুটি সড়কের পাশে খেলারত অবস্থায় ছিলো। এ সময় বেপরোয়া গতির ডাম্পারটি শিশুটিকে চাপা দিলো ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতলে নিয়ে গেলে হাসপাতালেই শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা দীর্ঘ সময় ধরে প্রধান সড়কের ওই অংশটি অবরোধ করে রাখে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহেশখালী থানার ওসি এবং পরিদর্শক তদন্তের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এদিকে স্থানীয়রা মরণঘাতী যানটি আটক করলেও ঘটনার পর গাড়িটির চালক পালিয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিহত তাহমিদ একই এলাকায় মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এখনো ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে, ডাম্পারসহ সড়কে সকল যান চলাচলে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আনার দাবি জানান উত্তেজিত জনতা।
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয়দের দাবীর মুখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইয়াছিন , ডাম্পার চালক ও মালিকদের উদ্যেশে বলেন, মহেশখালীর যে কোন সড়কে ডাম্পার সহ বালি ও মাঠি র্বতি গাড়ি রাত ১০ টার পর থেকে চলাচল করতে পারবে দিনের বেলায় এই সব গাড়ি চলাচল করলে জরিমানা করা হবে। বিষয়টি স্থানীয়রা মেনে নেওয়ার পর সড়কে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। গত ১৫ দিনে ডাম্পারের চাপায় দুই মহেশখালীর প্রধান সড়কে ২ শিশু নিহত হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।