প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ৫ই জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাড়ী এক্সিডেন্টে আহত মানসিক রোগী টেকনাফ সদর হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫ নং বেডে ভর্তি ছিলেন। মারোত এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল এর নের্তৃত্বে মেডিকেল টিম নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। মারোত স্বেচ্ছাসেবী টিম নিয়মিত খাবার ও ঔষধ দিয়ে আসছে। এই অজ্ঞাত মানসিক রোগী ১৫ ই জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরন করে। পুরুষ ওয়ার্ডে জামা-কাপড় পড়া অবস্থায় মৃতদেহ পড়েছিল। করোনা রোগী সন্দেহে আশেপাশের কেহ, লাশের পাশে যাচ্ছিলেন না। পরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মারোতের সদস্যরা এগিয়ে আসেন ওই লাশটি পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করেন। লাশটি হলেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত ব্যক্তির। তিনি দীঘদিন ধরে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতেন এবং মারোতের দেওয়া খাবার নিতেন।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানসিক রোগীদের তহবিল(মারোত)এর সভাপতি আবু সুফিয়ান।
তিনি বললেন, হঠাৎ করে টেকনাফে গত কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকা লোকটি করোনা আক্রান্ত কি না সন্দেহে পড়ে থাকা ব্যক্তির লাশ গ্রহণ করতে এগিয়ে আসেনি।
হাসপাতাল থেকে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকার খবর দেন আমাকে। তখন আমি সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে অবহিত করলে সে কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশটি উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে সৎকারের ব্যবস্থা করেন।পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় মারোতের স্বেচ্ছাসেবী মোশাররফ হোসেন, ফেরদৌস ইসলাম,রহিম উল্লাহ, রুপন শর্মাসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে দাফন কাজ সম্পন্ন করেন। এসময় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের প্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
মারোত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল বলেন কোভিড-১৯ চলাকালিন সময়ে মারোত সদস্যরা ছয়জন মানসিক রোগীকে গোসল করিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দুঘটনায় মারা যাওয়া আরও ১২জনকে একই ভাবে দাফন/সৎকার করা হয়েছে। বর্তমানে আরও একজন টেকনাফ হাসপাতালে বয়সজনিত মাল্টিপল রোগে আক্রান্ত মানসিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মারোত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন. ২০১৭সালে মারোত প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৮জন মানসিক রোগীর লাশ স্ব স্ব ধর্মীয় রীতিমতো দাফন বা সৎকার করা হযেছে।করোনাকালিন সময়ে মানসিক রোগীদের দৈনিক এক বেলা রান্না করা খাবার বিতরণ করার পাশাপাশি মারা যাওয়া ছয়জনকে দাফন /সৎকার করা হয়। এরমধ্যে ২-২৫বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েপড়া ৩৫জন নারী-পুরুষকে তাদের নিকটত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।