রাশেদুল ইসলাম:
টেকনাফে রাস্তা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি কে কেন্দ্র করে মোঃ হারেস (২৩) নামের এক টমটম চালককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৩ জুলাই দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে দাবী টেকনাফ মডেল থানার ওসির।
আহত হারেস টেকনাফ সদর ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকার আলী হোসেন এর ছেলে৷
শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান৷
আসামীরা হল, ১ মোঃ ইউসুপ (২১) পিতা নবী হোসেন, ২ মোঃ সাইফুল ইসলাম (২২) পিতা ফেরদৌস, ৩ মোঃ নোমান (২২), ৪ মোঃ ইব্রাহিম (২৫) উভয় পিতা আবুল হাশিম, স্থায়ী ঠিকানা কাটাবনিয়া, ৫ নবী হোসেন ((৪০) পিতা ইব্রাহিম সিকদার, ৬ মোঃ হাসান (২৮) পিতা মৃত শরীফ, ৭ মোঃ ফেরদৌস (৪৫) হাজী অলি আহমদ সর্ব সাং সদর ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায়৷ তাদের সাথে ৫/৭ অজ্ঞাত ছিল৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকার আহত টমটম চালক হারেস এর সাথে অভিযুক্ত আসামীদের চলাচলের রাস্তানিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে হারেস এর ঘাড়ির আইনা ভাঙচুর করে৷ আহত হারেস প্রতিবাদ করলেই বিষয়টা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়৷ পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শালিস মিমাংসার চেষ্টা করে।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত আসামীরা হারেসকে হামলা করে। এসময় তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা হারেসকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত ব্যক্তির অবস্থা ভাল না বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত হারেসের পিতা আলী হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে মুঠোফোনে জানান, আমার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে মাথায় আঘাতসহ শরিরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়৷
তিনি আরো জানান, সামন্য ঘটনা নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা করে৷ সন্তানের জন্য দোয়া করবেন সবাই, বাঁচার সম্ভাবনা কম৷
আলী হোসেন জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেলে তৎক্ষানিক চিকিৎসা না পেয়ে বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সন্তান হারেস৷
তুলাতলী ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার শাহ আলম বলেন, ঘটনাটি ঈদের আগের৷ আমি উভয় পক্ষকে সমাধানের জন্য এলাকার কয়েকজন মুরব্বীকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম৷ মুরব্বীদের বিচারে আহত হারেস এর পিতা এবং আত্বীয়স্বজন সমাধান চাইলেও হামলাকারীরা বিচার না মেনে ঈদের পর অতর্কিত অবস্থায় এ হামলা করেছে৷
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে এখনো জানিনা৷
চেয়ারম্যান জানান, আহতদের পরিবারের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যতটুকু সহযোগিতা করা প্রয়োজন ততটুকু করে যাব৷ সাথে যারা এ সন্ত্রাসীকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে৷
ওসি হাফিজুর রহমান জানান, টমটম চালককে কুপিয়ে গুরুতর জখমকের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ থানার পক্ষ থেকে আসামীদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে৷
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।