আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) :
পুলিশের অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীর হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নানা আলোচনা -সমালোচনা চলছে।
শনিবার দিবাগত রাতে (১৬ জুলাই ) এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুর শিকার আসামীর নাম নুরুল কবির লেদু, সে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ইউছুপেরখীল গ্রামের বাসিন্দা ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার দিবাগত রাতে(১৭ জুুলাই রবিবার রাতের শুরুর দিকে) ঈদগাঁও থানা পুলিশের কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও রাকিবের নেতৃত্ব পুলিশদল ধৃতের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক ।পরে থানা পুলিশের গাড়ি যোগে আটক আসামূকে নিয়ে থানায় যাওয়ার পথে ধৃত আসামী বুকে ব্যাথা অনুভব করে। তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অভিযানে অংশগ্রহণকারী পুলিশ কর্মকর্তা উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন।উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে ধৃত আসামীকে থানায় না নিয়ে দ্রুত ঈদগাঁওস্থ এক প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর ভেবে চিকিৎসকের পরামর্শে রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত ৩ টার দিকে দায়ীত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে ধৃত আসামির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে উপরোক্ত দুই কর্মকর্তা ওয়ারেন্টভুক্ত উক্ত আসামীকে আটকে রাত দুইটার দিকে তার বসত ঘরে যাই। এসময় আসামী বুকে ব্যাথা অনুভব করে।অবস্থা বেগতিক দেখে কর্মকর্তাদ্বয় তাকে এ ঘটনা জানালে তিনি আসামীর ছেলেসহ তাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।আটকের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছেলে শরীফ বাবার সাথে ছিল।রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে মৃতের পরিবার বিনা ময়না তদন্তে দাফনের জন্য লাশ নিয়ে বাড়ির পথে রয়েছে বলে জানান ওসি আবদুল হালিম।
অপরদিকে মৃতের সন্তান শরীফ জানান,সে আগে থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল।ঐদিন রাতে পুলিশ আসলে সে বুকে ব্যথা অনুভব করেন।পরে পুলিশ গাড়ির সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।