কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে অসহায় বিধবা নারীসহ ছয়জনকে মিথ্যা মারপিটের মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের বাইংগাকাটা গ্রামের শামশুল আলমের পুত্র আবদুল জলিলের (৪৫) সঙ্গে একই গ্রামের মৃত আবু তাহেরের স্ত্রী নূরুন্নাহারের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির জমি বন্টন নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এ জমির সংক্রান্ত জের ধরে মিথ্যা মারপিটের
অভিযোগ এনে কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবদুল জলিল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিধবানারী নূরুন্নাহার (৫০)সহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযুক্ত নূরুন্নাহার (৫০) বলেন, মামলার বাদী হাজী সুফিয়া জাফর তাজবীদুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক আবদুল জলিল বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার চালাতেন। গত ১ মে চলাচলের রাস্তায় ঘেষে মাটি খনন করায় তার বিরুদ্ধে উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদে ৮ মে একটি অভিযোগ করি এবং তাঁর সাথে ৪ খণ্ড ১ কড়া জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল এ জমি দখল করতে না পারে আদালতে মারপিটের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। সত্যিকার অর্থে ঐ দিন কোন মারপিটের ঘটনা ঘটে নি। আসলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাঁর
হাত ভেঙ্গে যায়। এখন দুর্ঘটনাকে মারপিটের রুপ দিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতেছেন যা ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান অবগত আছেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ মিথ্যা মামলা এবং আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কুতুবদিয়া আদালতে বাদী হয়ে আবদুল জলিল যে মামলাটা করেছে সেটা বানোয়াট এবং মিথ্যা। ঐদিন এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নি। ঝগড়ার আগে হাত ভাঙ্গা ছিল।
অন্যদিকে, মামলার বাদী আবদুল জলিল বলেন, মামলায় উল্লেখ বিষয়গুলো সত্য ঘটনা। এখানে মিথ্যার কিছু নেই। এটা আদালত থেকে তদন্ত জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
কুতুবদিয়া অফিসার ইনচার্জ ওমর হায়দার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।