মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কম বেশী সব জায়গাতেই বাণিজ্যিকভাবে কারা চাষের লেবুর যাচ্ছে সারা দেশে। উপজেলার দুছড়ি ইউনিয়নের নেমুছড়ি,বাহির মাঠ,পাইনছড়ি কুলাছি,কুড়িক্ষ্যংসহ অনেক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের সূত্রে মতে প্রায় সড়ে ৪ হাজার হেক্টর পাহাড়ি উচু নিচু জায়গাতে এবছর লেবু চাষ হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার সদরের আশারতলী, চাকঢালা, আদর্শগ্রাম ও সোনাইছড়িতেও লেবুর ব্যাপক চাষ হয়েছে। চাষি আমিরুজামান,মোঃ শফি, নুরুল ইসলামসহ অনেকে জানান সপ্তাহের ২ দিন সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি বিকালে রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়ায় বাজারে (সোমবার ও বৃহস্পতিবার,) হাট বসে ভোরে লেবু বাগানের মালিকরা বাজারে এনে মজুদ করেন লেবু। এ দুই হাট থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চকরিয়া থেকে আগত পাইকারি ব্যাবসায়ীরা ক্রয় করে চট্টগ্রাম,ঢাকাতে,নিয়ে পাইকারি আড়ত দারদের কাছে বিক্রি করেন।
আবার অনেক ব্যাবসায়ীরা সড়ক যোগাযোগ যেখানে ভালো সেখান থেকে সরাসরি বাগানে থেকে লেবু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে য়ায়।
কথা হয় দুছড়ি ইউনিয়নের চিকনছড়ির পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক মোহাম্মদ ফুরকানের সঙ্গে, তিনি বলেন এই লেবুর বাগান থেকে এক সময় অনেক অর্থ কড়ির সুফল পেয়েছি, কিন্ত বতর্মানে সব বাগানে অহরহ উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় কারণে, বতর্মানে বাজার দর নিম্ন মুখি হওয়াতে অনেকেই উৎসাহ হারাচ্ছে চাষে।
কথা হয় আর্দশগ্রামের তরুণ চাষি সাবেক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নবীর ছেলে,মোঃ মুন্নার সঙ্গে তিনি বলেন বছর জুড়ে ফলন শীল এই লেবুর বাগান দিন দিন উপজেলার পাহাড়জুড়ে বেড়েই চলছে, আমিও স্বপ্ন দেখি এই চাষের প্রতি, ভবিষ্যতে লাভবান হব বলে। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক এর সাথে কথা বলে জানা গেছে গেল বছর উপজেলার ১২০ জন চাষিকে সার সহ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবছর এখনো কোন বরাদ্দ না আসায় সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। চাষি ফোরকান,খোকনসহ অনকে জানান সরকার কিংবা কৃষি অফিস এবং কৃষি মাঠ কর্মীরা এসব চাষিদের প্রতি সুদৃষ্টি না রাখায় দিন দিন অগ্রহ হারাচ্ছে উপজেলার লেবু চাষিরা। তারা এ চাষের আগ্রহ বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন চাষিরা।