মোঃ মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) :
শীতের আগে একটা শীত শীত ব্যাপার। ব্যাপারটা ভীষণ উপভোগ্য। হ্যাঁ কার্তিকের হাত ধরে শিশির ধোয়া ভোর, হালকা কাঁথায় মোড়ানো রাত নিয়ে দারুন আগমনী। এখন না শীত। না গরম। দুটোকেই আপন মনে হয়। যেন বহু দূরের দেশ থেকে লম্বা সময় পর বাড়ি ফিরছে। ইতিমধ্যে হেমন্তের ভোরে শিশির সিক্ত দূর্বাঘাস ও পথঘাট। সূর্যের আলোতে শিশির দানা মুক্তার মতো জ্বল জ্বল করে জানান দিচ্ছে, দুয়ারে এসেছে শীত। কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যের উদয়। শীতের আমেজ না, সত্যিকারের শীত।
আজ মঙ্গলবার (২৬অক্টোবর) ভোরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানান দিয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে জাঁকিয়ে বসেনি এখানো। লেপ, কম্বল বের করতে শুরু করেছে বাড়ির গৃহিণীরা।
কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা।
উৎসব আর আনন্দের মাঝে অনেক গ্রামে শুরু হয়েছে আগাম ধান কাটা। দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর চাদরে ঢাকা ভোরের সূর্যের সোনামাখা রোদ জানান, দিচ্ছে শীত আর দূরে নেই। গ্রামাঞ্চলে একটু বেশি শীত পড়তে শুরু করেছে। এদিকে উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। গাছ থেকে ঝরছে পাতা, ঝরছে শিউলি ফুল। শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদির দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি। উপজেলার বিভিন্ন পথ-ঘাটে সকালে হাটতে বের হওয়া অনেক নারী পুরুষ জানান, এ অঞ্চলে দিন দিন তাপমাত্র কমতে শুরু করেছে। রাত ও সকালে মূদু শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে।