এস. এম. তারেক
ঈদগাঁওতে নিরপরাধ স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী আরেফা বেগম।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ঈদগাঁও উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আরেফা আক্তার তাঁর লিখিত বক্তব্যে জানান, ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া এলাকার ভূতুইয়ার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ৩ সন্তানের জনক তোফায়েল আহমদ টুলু তাঁর স্বামী। তিনি পেশায় একজন কৃষক এবং দীর্ঘদিন ধরে মেহেরঘোনা রেঞ্জের আওতাধীন মাছুয়াখালী বিটে একজন হেডম্যান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
ওই সুবাদে সরকারী সম্পদ রক্ষায় বন কর্মকর্তা / কর্মচারীদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে বিভিন্ন সময়ে টহল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হয়। সম্প্রতি মাছুয়াখালী বিটের ফরেস্টার জয়ন্ত রায়ের নেতৃত্বাধীন টহলপার্টির সাথে আমার স্বামী টুলুও অংশগ্রহন করেন। টহলপার্টি সামনে কিছুদুর এগুনোর পর টিম প্রধান ফরেস্টার জয়ন্ত তাঁর কাধে ঝোলানো সরকারী রাইফেলটি কিছু সময়ের জন্য আমার স্বামী টুলুর হাতে জমা রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ঢুকে পড়েন। ইত্যবসরে সখের বশে ওই রাইফেলসহ আমার স্বামী টুলু একটি সেলফি তোলেন এবং ফরেস্টার জয়ন্ত প্রাকৃতিক কাজ সেরে জঙ্গল থেকে ফিরে আসা মাত্র রাইফেলটি তার কাছে বুঝিয়ে দেন। আমার স্বামীর অজ্ঞাতসারে কে বা কারা তাঁর মুঠোফোন থেকে ওই ছবিটি চুরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র স্থানীয় একটি পত্রিকায় এতদসংক্রান্ত মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করিয়ে আমার নিরপরাধ স্বামীকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আরেফা বলেন, তাঁর স্বামী টুলু সরকারী সম্পদ রক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠা ও আন্তরিকার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ কারনে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রটি বনের মূল্যবান জমি দখল , গাছ চুরি, পাহাড় কাটা এবং বালি উত্তোলন করতে পারছেনা। সে কারনে চক্রটি টুলুকে ফাঁসানোর জন্য ছবিটি ব্যবহার করে সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। তাঁর দাবী, টুলু কখনও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ছিলনা এবং নেই এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমাও নেই। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রতি তাঁর দাবী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করা হোক।