মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
চকরিয়ার ডুলাহাজারায় বাবার শ্রাদ্ধক্রিয়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে ওই দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা নিরূপণ করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরীন ও আইনজীবী শাহীনুজ্জামান।
এর আগে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উজ্জ্বল পাল ও জাহিদ হোসেন দোলন হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন সুরেশ চন্দ্র সুশীল। বাবার মৃত্যুর দশম দিনের স্নান ও ক্ষৌর কর্ম করতে সন্তানরা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এক মন্দিরে যান।
সেখান থেকে ফেরার পথে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মালুমঘাট দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। চকরিয়া থেকে কক্সবাজারমুখী তরকারি বোঝাই দ্রুতগামী মিনিট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ৪ ভাইয়ের নিহত হয়। এছাড়া তিন ভাই ও এক বোন গুরতর আহত হন।
তাদের আহতাবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন-মৃত সুরেশ চন্দ্র সুশীলের পাঁচ ছেলে অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯)।